১২ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

আন্দোলনে কলেজছাত্রকে গুলি করে হত্যা, পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১:২৫ অপরাহ্ণ, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় পুলিশের গুলিতে কলেজছাত্র মো. হৃদয় হত্যর ঘটনায় আকরাম হোসেন নামে এক কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাকে গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার বরুরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিহত মো. হৃদয় টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার উত্তর আলমনগর এলাকার মো. লাল মিয়ার ছেলে। টাঙ্গাইলের হেমনগর ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল সে। কোনাবাড়ি থানার ওসি মো. শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় গত ৫ আগস্ট বিকেলে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ি থানা এলাকায় পুলিশ সদস্যরা হৃদয়কে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত হৃদয়ের ফুপাতো ভাই ইব্রাহিম বাদী হয়ে কোনাবাড়ি থানায় গত ২৭ আগস্ট একটি হত্যা মামলা করেন।

এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হককে। এ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান, সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ ৫৭ জন। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২৫০-৩০০ জনকে।

এ ছাড়া হৃদয় হত্যার ঘটনায় দৈনিক সমকালের কালিয়াকৈর প্রতিনিধি এম তুষারী, বাংলা টিভির গাজীপুর প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম, সকালের সময়ের কোনাবাড়ি প্রতিনিধি মোকলেছুর রহমান ও ভোরের ডাকের গাজীপুর প্রতিনিধি এম এম মমিন রানাকে আসামি করা হয়।

মামলার বাদী এজাহারে অভিযোগ করেন, তিনি ও তার মামাতো ভাই হৃদয় গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর কোনাবাড়ী রোডে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

হৃদয় গত ৫ আগস্ট কোনাবাড়ির এঞ্জেল গেইট সংলগ্ন রাস্তার ওপর অবস্থান করছিল। এ সময় আন্দোলনকারীরা কোনাবাড়ী থেকে কাশিমপুর রোডে অবস্থান করে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিল।

ওই সময় সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের নির্দেশে অজ্ঞাতনামা ২৫০-৩০০ জন সন্ত্রাসী ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়।

হৃদয় প্রাণভয়ে পাশের একটি দোকানে আশ্রয় নেয়। কিছুক্ষণ পরে পুলিশ সদস্যরা হৃদয়কে দোকান থেকে বের করে রাস্তার ওপরে নিয়ে যায়। পুলিশ সদস্যরা ঘেরাও করে আগ্নেয়াস্ত্র পেটের মধ্যে ঠেকিয়ে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ গুম করে।

ওসি শাহ আলম বলেন, গ্রেপ্তার কনস্টেবল আকরাম গাজীপুরে শিল্প পুলিশে কর্মরত ছিলেন। হৃদয় হত্যার ভিডিও দেখে কনস্টেবল আকরাম হোসেনকে শনাক্ত করা হয়েছে। পরে কোনাবাড়ি থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

81 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন