বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, কঙ্গোর গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের পূর্বদিকে ইবোলা প্রাদুর্ভাব এখন দ্বিতীয় বৃহত্তম রেকর্ড। দেশটির বেনি শহর ও তার আশপাশে ৪২৬টি ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।
২০০০ সালে উগান্ডায় রেকর্ডটি ছিল সবচেয়ে বড়।
বেনি একটি সংঘর্ষপূর্ণ অঞ্চল। প্রায়ই এটি বিদ্রোহীদের আক্রমণের শিকার হয়। ইবোলায় এ পর্যন্ত প্রায় ২০০ মানুষ মারা গেছে এ অঞ্চলে।
তবে ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে পশ্চিম আফ্রিকায় সংঘটিত এই মহামারির তুলনায় এই ঘটনা অনেক ছোট যাতে মারা গিয়েছিল ১১ হাজার ৩১০ জন।
এ বছর ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গোতে দেখা দিল দ্বিতীয় ইবোলা প্রাদুর্ভাব। সরকারি হিসাব মতে, এর আগে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে এই প্রাদুর্ভাবে মারা যায় ৩৩ জন।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ফর ইমার্জেন্সি প্রিপিয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্স এক টুইটে লিখেছেন, ‘(আমরা) কঙ্গো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াবো যাতে এ প্রাদুর্ভাবকে নির্মূল করা যায়।’
ইস্টার্ন কঙ্গোয় চলতি ইবোলা প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে গত জুলাইয়ে এবং ১৯৭৬ সাল থেকে ইবোলা দ্বারা আঘাতের ক্ষেত্রে এটি দশম স্থান।
দেশটির স্বাস্থ্যকর্মীরা আশা করছেন সোমবার কঙ্গোর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষিত প্রথম মাল্টি-ড্রাগ ইবোলা ট্রিটমেন্ট ট্রায়াল বর্তমান প্রাদুর্ভাব নির্মূলে এবং ভবিষ্যত প্রাদুর্ভাবগুলো প্রতিরোধে সহায়তা করবে।
আন্তর্জাতিক খবর