বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৭:১২ অপরাহ্ণ, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭
বরগুনার আমতলী উপজেলার ছোনাউডা গ্রামের চাচা মো. মনির চৌকিদারের (৫০) লালসার শিকার হয়ে তার ভাতিজি সপ্তম শ্রেণির স্কুলছাত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ চাচা মনির চৌকিদারকে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) আটক করেছে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে চাচা মনির চৌকিদার দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি ওই ছাত্রীকে মনির চৌকিদার বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন। লোক লজ্জার ভয়ে স্কুলছাত্রী এ ঘটনা কাউকে জানায়নি। এতে ছাত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। গত রোববার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখে মা মেয়ের কাছে ঘটনা জানতে চান।
পরবর্তীতে ছাত্রী মায়ের কাছে সকল ঘটনা খুলে বলে। সোমবার মেয়ের শারীরিক পরীক্ষার জন্য আমতলীর একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিয়ে যায়। এতে ওই ছাত্রী ২৭ সপ্তাহ ৫ দিন অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে ডাক্তারি রিপোর্টে বলা হয়।
বৃহস্পতিবার ছাত্রীর বাবা আমতলী থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত চাচা মনির চৌকিদারকে আটক করে।
এদিকে ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ২০০৩ এর ৯ (১) ধারায় চাচা মনির চৌকিদারকে আসামি করে আমতলী থানায় মামলা করেন।
পুলিশ চাচা মনিরকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করেছে। আদালতের বিচারক হুমায়ন কবির তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করেন, মেয়ে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে আমার চাচাতো ভাই মনির চৌকিদার উত্ত্যক্ত করতেন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি আমার মেয়েকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন। এতে মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকতা (ওসি-তদন্ত) নুরুল ইসলাম বাদল বরিশালটাইমসকে মুঠোফোনে বলেন, ছাত্রীর পরিবারের দেওয়া শারীরিক পরীক্ষা প্রতিবেদনে ওই ছাত্রী ২৭ সপ্তাহ ৫ দিনের অন্তঃসত্ত্বা উল্লেখ আছে। পুনরায় পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চাচা মনির চৌকিদারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।”