বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৬:৫০ অপরাহ্ণ, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯
বার্তা পরিবেশক, অনলাইন::: ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, আমরা সবাই নাগরিক। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য আমাদের আদর্শ। আমরা কাউকে বাংলা ছাড়তে দেব না। আমরা এনআরসি ও সিএএ-কে বাংলায় ঢুকতে দেব না। আমাদের শান্তি বজায় রাখতে হবে।
সোমবার নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন এবং এনআরসির প্রতিবাদে রেড রোড থেকে মমতার নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, মিছিলটি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে শেষ হবে।
এর আগে গত বুধবার রাজ্যসভায় পাস হয়ে গিয়েছে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল। তারপর থেকেই রাজ্যজুড়ে এই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে শুরু হয় বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। বহু জায়গায় রাস্তা অবরোধ করার পাশাপাশি স্টেশন ও ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন মুখ্যমন্ত্রী। মিছিলে অংশ নিয়েছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। এর আগে রোববার বিক্ষোভকারীরেদ উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, রাস্তা ও রেল অবরোধ করবেন না। সাধারণ মানুষের হেনস্তা মেনে নেয়া হবে না। যারা এটা করছে ও হাতে আইন তুলে নিচ্ছে তাদের ছাড়া হবে না। যারা বাসে আগুন লাগাচ্ছে, ট্রেনে আগুন লাগাচ্ছে ও জনতার সম্পত্তি নষ্ট করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে সোমবারের বিক্ষোভ মিছিল ঘোষণা করার পরই রাজ্যপাল পাল্টা টুইট করে জানিয়ে দেন তিনি ‘অত্যন্ত বিরক্ত’ এই ‘অসাংবিধানিক’ কাজে। তিনি টুইটে বলেন, আমি অত্যন্ত বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী ও তার মন্ত্রীদের ক্যাবের বিরুদ্ধে মিছিল করার সিদ্ধান্তে। এটা অসাংবিধানিক। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে এই অসাংবিধানিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বলছি এই সঙ্কট মুহূর্তে এবং এ মারাত্মক পরিস্থিতিকে শুধরানোর জন্য বলছি।
এদিকে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের বিরুদ্ধে রাজ্যে শুরু হওয়া সংঘর্ষের ঘটনায় বহু জায়গার ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে। মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর ও হাওড়া জেলা ছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত ও বসিরহাট মহকুমা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর ও ক্যানিং মহকুমাতেও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে।
এনডিটিভির প্রতিাবেদনে বলা হয়েছে, নতুন নাগরিকত্ব আইনে ২০১৫ সালের আগে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত অমুসলিম নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে।