প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- সেনাবাহিনীকে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে। এসময় সেনাবাহিনীকে জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে নবীন সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাবে। বিশ্ব সভায় আত্মমর্যাদা দিয়ে মাথা উঁচু করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ কারো কাছে মাথা নত করবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করেছি। ১৯৯৬-২০০১ নতুন নতুন ইউনিট ব্যাটালিয়ানসহ গুরু প্রতিষ্ঠান করেছিলাম। আজকের সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ আলাদা। আজকের সেনাবাহিনী উন্নত, দক্ষ ও চৌকস।
সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। আমার ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, আরেক ভাই লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল দু’জনেই ১৯৭৫ সালে শাহাদাত বরণ করেন। ছোট ভাই রাসেলের লক্ষ্যই ছিল সেনা সদস্য হওয়ার।
কমিশনপ্রাপ্ত নবীন অফিসারদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনক শেখ মুজিবর রহমান ১১ জানুয়ারি প্রথম প্যারেডে উপস্থিত ছিলেন। তিনি তার বক্তৃতায় বলেছিলেন, পেশাগতভাবে দক্ষ নৈতিক গুণাবলী সম্বলিত হয়ে গড়ে উঠতে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে চলেছি।
প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীর ৭৫তম বিএম দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত রাষ্ট্রপতি প্যারেড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন।
এর আগে বুধবার বেলা সোয়া ১১টায় প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টার যোগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) পৌঁছান। এ সময় সেনাবাহিনী প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রী নির্ধারিত কর্মসূচিতে যোগ দেন।
২৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌবাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে চট্টগ্রাম এসেছিলেন। ওইদিন তিনি চট্টগ্রামের বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ মিডশিপম্যান পরিদর্শন এবং বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণ দেন।’’
শিরোনামজাতীয় খবর