ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ভালো আছেন। মুঠোফোনে জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তিনি কক্সবাজারের ইনানীতে শুটিংয়ে ব্যস্ত। শুটিংয়ে থাকার কারণেই দুর্ঘটনার পুরো খবর তাঁকে জানানো হয়নি। তবে পরে তিনি শুনেছেন।
সাকিবকে ঢাকা থেকে ইনানী পৌঁছে দেওয়া হেলিকপ্টারটি ফেরার পথে ইনানী সৈকতেই বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে একজন নিহত ও তিনজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সাকিব প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘আমি ভালো আছি। আসলে দুর্ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই বলতে পারব না। ওই সময় আমি শুটিংয়ে ছিলাম।’
শুটিংয়ের ব্যস্ততার কারণে আর বেশি কিছু বলতে পারেননি। তবে তাঁকে নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই এটি আশ্বস্ত করেছেন শুভাকাঙ্ক্ষীদের। ব্যস্ততার কারণে আজই আবার হেলিকপ্টারে করে ফেরার কথা ছিল সাকিবের। তবে সাকিব হেলিকপ্টারে না ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর বদলে আগামীকাল ফিরবেন বিমানে।
ইনানীর একটি হোটেলে সাকিবকে নামিয়ে দেয় বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের হেলিকপ্টারটি। ফেরার পথে কিছু দূর গিয়ে সৈকতেই বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির নাম শাহ আলম। যে বিজ্ঞাপনী সংস্থার হয়ে শুটিংয়ে অংশ নিতে সাকিব কক্সবাজারে গিয়েছিলেন, তিনি সেই সংস্থার হিসাব বিভাগে কাজ করতেন। হেলিকপ্টারের পাইলটও মারাত্মক আহত হয়েছেন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকায় আনা হয়েছে।
সাকিবের সঙ্গে কক্সবাজারে শুটিং করতে যাওয়া নাফিজ আহমেদ প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, ‘আমরা নিরাপদেই ল্যান্ড করেছি। আমাদের নামিয়ে দিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই আরও কজন যাত্রী নিয়ে হেলিকপ্টারটি ফিরে যাচ্ছিল। হেলিকপ্টারের পাখা তখনো বন্ধই হয়নি। শুধু আমাদের নামিয়েছে আর ওদের তুলে নিয়েছে। এরপর কিছু দূর গিয়ে ইনানী সৈকতেই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।’