৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার

আসাদুজ্জামান নূরকে নিয়ে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর আবেগঘন স্ট্যাটাস ভাইরাল

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:০৪ অপরাহ্ণ, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন::: এক সময় সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের প্রতিষ্ঠান ইস্ট এশিয়াটিক অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেডে দৈনিক ২০০ টাকা মজুরিতে চাকরি করতেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

ফেসবুকে আসাদুজ্জামান নূরের সঙ্গে কয়েকটি ছবি পোস্ট করে এমন তথ্য দিলেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

তিনি জানান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্র থাকাকালীন ইস্ট এশিয়াটিক অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেডে প্রতিদিন ২০০ টাকা বেতনে চাকরি নিয়েছিলেন। সে সময় প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার আসাদুজ্জামান নূর ডা. এনামুর রহমানের কার্যালয়ে যান। প্রিয় নেতাকে দেখে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী। এগিয়ে গিয়ে আসাদুজ্জামান নূরের পায়ে হাত দিয়ে সালাম করেন ডা. এনামুর। এ সময় আসাদুজ্জামান নূর তাকে বুকে টেনে নেন।

সে সময়ের কয়েকটি মুহুর্তের ছবি শেয়ার করে ডা. এনামুর রহমান তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে শেয়ার করে স্মৃতি রোমন্থন করে একটি পোস্ট দেন।

আর পোস্টটি রীতিমতো ভাইরাল হয়ে পড়ে।

ইতিমধ্যে প্রায় ৪ হাজারের কাছাকাছি লাইক জমা পড়েছে সেখানে। শেয়ার হয়েছে ৩২১ বার। কমেন্টে ভেসে গেছে পোস্টটি।

পাঠকের উদ্দেশ্যে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের সেই স্ট্যাটাসটি দেয়া হলো –

‘তখন আমি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্র। বাবা নেই। মা,চার ভাই, তিন বোন। সন্তানদের মধ্যে আমি সবার বড়। টানাটানির সংসার। তার ওপর মেডিকেলের বই পত্র কেনা। অনেক খরচ। শেষমেষ বাড়তি রোজগারের আশায় শিক্ষার্থী অবস্থায় কাজ নিলাম একটা মার্কেট রিসার্চ প্রতিষ্ঠানে। ইস্ট এশিয়াটিক অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেড।

চট্টগ্রাম শহরে দোকানে দোকানে ঘুরি। গোল্ড ফ্লেক সিগারেটের নতুন তিনটা মোড়ক- এর মধ্যে কোনটা বেশি পছন্দের তা নিয়ে জরিপ করি। প্রতিদিনের মজুরি মাত্র ২’শ টাকা। আমার কাজে সন্তুষ্ট হয়ে অল্প কিছুদিনের মাথায় মজুরি বেড়ে দাঁড়াল দিন প্রতি ৪’শ টাকা। জীবনের প্রথম উপার্জন। বেশ চলে যেত।

সংসার চালানো থেকে ভাই বোনের লেখাপড়ার খরচ- মোটামুটি চলনসই পর্যায়ে নিয়ে এলাম নিজের পরিবারকে।

সে সময় নূরু ভাই ছিলেন ওই কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

এই কথা এজন্য বলছি যে, আজ অপরাহ্ণে মন্ত্রণালয়ে আমার অফিস কক্ষে এসেছিলেন শ্রদ্ধেয় নূর ভাই। আসাদুজ্জামান নূর। জনপ্রিয় অভিনেতা,সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী এবং নীলফামারী-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য।

প্রথম দর্শনেই পা ছুঁয়ে সালাম করতেই আমাকে বুকে জড়িয়ে নিলেন তিনি। বললেন, এনাম তুমি যেভাবে অতীতের কথা মনে করো,এই সময় এমনটা কেউ করে না! সবাই অতীত ভুলে যায়। আচ্ছা। আমি কেন ভুলবো? আমরা অতীতটাই তো আমার অহংকার আর গৌরবের। তাইনা!

এক সময় সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের প্রতিষ্ঠান ইস্ট এশিয়াটিক অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেডে দৈনিক ২০০ টাকা মজুরিতে চাকরি করতেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

ফেসবুকে আসাদুজ্জামান নূরের সঙ্গে কয়েকটি ছবি পোস্ট করে এমন তথ্য দিলেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

তিনি জানান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্র থাকাকালীন ইস্ট এশিয়াটিক অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেডে প্রতিদিন ২০০ টাকা বেতনে চাকরি নিয়েছিলেন। সে সময় প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার আসাদুজ্জামান নূর ডা. এনামুর রহমানের কার্যালয়ে যান। প্রিয় নেতাকে দেখে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী। এগিয়ে গিয়ে আসাদুজ্জামান নূরের পায়ে হাত দিয়ে সালাম করেন ডা. এনামুর। এ সময় আসাদুজ্জামান নূর তাকে বুকে টেনে নেন।

সে সময়ের কয়েকটি মুহুর্তের ছবি শেয়ার করে ডা. এনামুর রহমান তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে শেয়ার করে স্মৃতি রোমন্থন করে একটি পোস্ট দেন।

আর পোস্টটি রীতিমতো ভাইরাল হয়ে পড়ে।

ইতিমধ্যে প্রায় ৪ হাজারের কাছাকাছি লাইক জমা পড়েছে সেখানে। শেয়ার হয়েছে ৩২১ বার। কমেন্টে ভেসে গেছে পোস্টটি।

পাঠকের উদ্দেশ্যে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের সেই স্ট্যাটাসটি দেয়া হলো –

‘তখন আমি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্র। বাবা নেই। মা,চার ভাই, তিন বোন। সন্তানদের মধ্যে আমি সবার বড়। টানাটানির সংসার। তার ওপর মেডিকেলের বই পত্র কেনা। অনেক খরচ। শেষমেষ বাড়তি রোজগারের আশায় শিক্ষার্থী অবস্থায় কাজ নিলাম একটা মার্কেট রিসার্চ প্রতিষ্ঠানে। ইস্ট এশিয়াটিক অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেড।

চট্টগ্রাম শহরে দোকানে দোকানে ঘুরি। গোল্ড ফ্লেক সিগারেটের নতুন তিনটা মোড়ক- এর মধ্যে কোনটা বেশি পছন্দের তা নিয়ে জরিপ করি। প্রতিদিনের মজুরি মাত্র ২’শ টাকা। আমার কাজে সন্তুষ্ট হয়ে অল্প কিছুদিনের মাথায় মজুরি বেড়ে দাঁড়াল দিন প্রতি ৪’শ টাকা। জীবনের প্রথম উপার্জন। বেশ চলে যেত।

সংসার চালানো থেকে ভাই বোনের লেখাপড়ার খরচ- মোটামুটি চলনসই পর্যায়ে নিয়ে এলাম নিজের পরিবারকে।

সে সময় নূরু ভাই ছিলেন ওই কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

এই কথা এজন্য বলছি যে, আজ অপরাহ্ণে মন্ত্রণালয়ে আমার অফিস কক্ষে এসেছিলেন শ্রদ্ধেয় নূর ভাই। আসাদুজ্জামান নূর। জনপ্রিয় অভিনেতা,সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী এবং নীলফামারী-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য।

প্রথম দর্শনেই পা ছুঁয়ে সালাম করতেই আমাকে বুকে জড়িয়ে নিলেন তিনি। বললেন, এনাম তুমি যেভাবে অতীতের কথা মনে করো,এই সময় এমনটা কেউ করে না! সবাই অতীত ভুলে যায়। আচ্ছা। আমি কেন ভুলবো? আমরা অতীতটাই তো আমার অহংকার আর গৌরবের। তাইনা!’

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন