বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০১:২৩ পূর্বাহ্ণ, ০৫ নভেম্বর ২০১৬
রাজশাহী মহানগরীতে এক মাদকসেবীর হামলায় আল-মামুন (৪৮) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার একটি কান পুরোটিই কেটে গেছে। শুক্রবার দুপুরে শহরের উত্তর নওদাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা রাসেল আলী (৩৩) নামে এক মাদকসেবীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। রাসেল ওই এলাকার শফিকুল ইসলাম ওরফে শফির ছেলে।
আহত আল-মামুন মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। পেশায় তিনি একজন দলিল লেখক। রাজশাহী সদর দলিল লেখক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক তিনি। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
আল-মামুনের ছোট ভাই কোরবান আলী সুমন (৩৫) জানান, শুক্রবার এলাকার মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে মুসল্লিদের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন আল-মামুন। এ সময় রাসেল আলী (৩৩) নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি মাদকসেবন করে মুসল্লিদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিলেন। আল-মামুন এর প্রতিবাদ করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাসেল বাড়ি থেকে একটি ক্রিজ (দুই পাশ ধারালো বিশেষ রামদা) নিয়ে গিয়ে তার ওপর হামলা করেন। ক্রিজের আঘাতে মামুনের ডান কানটি পুরোটিই কেটে যায়। এ সময় স্থ’ানীয়রা রাসেলকে ধরে গণধোলাই দেন। পরে তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। আর আহত অবস্থায় মামুনকে হাসপাতালে নেয়া হয়।
নগরীর শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান জানান, হামলার ঘটনায় রাসেলকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তবে কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি। রাসেল দাবি করেছেন, অস্ত্র নয়, দাঁত দিয়ে কামড়েই মামুনের কান কেটেছেন তিনি।
ওসি বলেন, ‘কানের কাটা অংশটি উদ্ধার করে রাখা হয়েছে। মামুনের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। শনিবার সকালে আটক রাসেলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।’
এদিকে মামুনের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।
তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত রাসেলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা দলের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
এদিকে রাজশাহী সদর দলিল লেখক সমিতির নেতৃবৃন্দও হামলার নিন্দা জানিয়ে রাসেলের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন। শুক্রবার রাতে আহত মামুনকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে অভিযুক্ত রাসেলের কঠোর শাস্তির দাবি জানান সমিতির সভাপতি মহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।