বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৭:২৬ অপরাহ্ণ, ২৮ জুন ২০১৬
বরিশাল: উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে চৌকিদার দফাদারদের বেতন থেকে দিনে দুপুরে নগদ ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা চুরি হয়। মঙ্গলবার সকালে উজিরপুর উপজেলার ৮২ জন চৌকিদার দফাদারদের ঈদ বোনাস বেতন বাবদ ৬ লক্ষ চব্বিশ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে অফিস সহকারী শহীদুল ইসলাম। তিনি এ টাকা নিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার পাশের অফিস রুমে সকাল ১০টায় ৩ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা সামনের একটি আলমিরাতে রেখে বাকী টাকা প্রতিজন চৌকিদারদের ৭ হাজার ৫শত টাকা ও দফাদারদের ৮ হাজার ৫শত করে ১৯ জন চৌকিদার ও ১ জন দফাদারের টাকা দেওয়া শেষ করে।
বেলা সাড়ে ১২টায় সামনের আলমীরাতের রক্ষিত টাকা আনতে গেলে ব্যাগ সহ টাকা না পেয়ে চিৎকার শুরু করে। এ সময় অর্ধশত চৌকিদার দফাদার তার সামনে উপস্থিত ছিল। ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক উজিরপুর মডেল থানা পুলিশের এস,আই মনিরুল ইসলাম উপস্থিত হয়ে তদন্ত শুরু করে।
এদিকে চৌকিদারদের দীর্ঘ ৩ মাসের জমানো বেতন নিতে এসে টাকা না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ে পরক্ষণে আইনের জটিলতা ভেবে গুঠিয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান দফাদার সমিতির কেন্দ্রীয় সম্পাদক মোশারেফ হোসেন সহ চৌকিদারদের নেতৃবৃন্দ একটি মধ্যস্থতা করে টাকার বিষয়টি সুরাহা করে। সকল চৌকিদারদের কাছ থেকে ৪ হাজার টাকা কর্তন করে অফিস সহকারী শহীদুল ইসলাম ৩০ হাজার টাকা ভতূকী দিয়ে সমস্যার সমাধান করেন। শহীদুল ইসলাম জানান ব্যাংক থেকে টাকা তুলে অফিসে এসে সামনের আলমিরাতে ৩লক্ষ ৫০ হাজার টাকা রেখে বাকী টাকা দেওয়া শুরু করি। টাকা শেষ হলে আলমিরাতে টাকা সহ ব্যাগ না পেয়ে উপস্থিত সবাই সহ নির্বাহী স্যারকে অবহিত করি। তবে আলমিরা তালা দেওয়া হয়েছিল কিনা মনে নেই।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝুমুর বালা জানান বেলা সাড়ে ১২ টাকা আকর্ষিকভাবে কে বা কাহারা নগদ ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। তবে সকলের মধ্যস্থতায় বিষয়টির সমাধান হয়েছে। সচেতন মহল সহ রাজনীতিবিদরা বলেন ইতিমধ্যে উপজেলা পরিষদের সামন থেকে দিনে দুপুরে ২টি মটোরসাইকেল চুরি হয়। এছাড়া উপজেলা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা বসালে অপরাধীদের শনাক্ত করা সহজ হতো।