নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে ৬ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে কমপক্ষে ৩৫ জন মারা গেছেন। ভূমিকম্পে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আলি রহমান গণমাধ্যমকে জানান, বিভিন্ন জায়গা থেকে হতাহতের খবর আসছে। এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট সংখ্যা বলা যাচ্ছে না, কতজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবারের (১৫ জানুয়ারি) ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মাজনে শহর থেকে ৬ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে। এর ভূস্থল থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যে, শক্তিশালী কম্পনে মাজনে শহরে ৬ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। পার্শ্ববর্তী প্রদেশ মামুজুতেও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
ইন্দোনেশিয়ার সংবাদমাধ্যগুলো বলছে, ভোরে শহর কেঁপে উঠলে হাজার হাজার মানুষ ঘর ছেড়ে পথে নেমে আসে। আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে দেখা যায় অনেককে। ভূমিকম্পের স্থায়িত্ব ছিল ৭ সেকেন্ড। তবে এখন পর্যন্ত সুনামির সংকেত দেখায়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
উদ্ধারকারীদের বরাতে দ্য স্ট্রেইট টাইমস তাদের খবরে জানিয়েছে, অনেক ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। ধ্বংস্তূপে আটকেপড়াদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। একটি হাসপাতালও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সেখানে কতজন আটকে আছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ।
স্থানীয় এক বাসিন্দা গণমাধ্যমকে বলছেন, ‘মামুজু শহরে বহু ঘরবাড়ি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে অনেক রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। বার্তাসংস্থা রয়র্টাস খবরে জানা গেছে, ভূমিকম্পের আঘাতে বিভিন্নস্থানে ধ্বংস্তূপ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ।’
এক বাসিন্দা বলছেন, ‘ভূমিকম্প খুবই শক্তিশালী ছিল। চারপাশে কাঁপুনিতে আমরা স্ত্রী-আমি দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যাই।’
গতকাল বৃহস্পতিবারও একই প্রদেশে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই দফা ভূমিকম্পের আঘাতে বিভিন্ন স্থানে ভূমিধসও দেখা দিয়েছে। বেশকিছু জায়গায় বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।
দ্বীপ দেশ ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্পন প্রবণ অঞ্চল। ২০১৮ সালে সুলাওয়েসির পালু শহরে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পের পর সুনামি আঘাত হানে। এতে হাজারও মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।’
লিড নিউজআন্তর্জাতিক খবর