তবে ওই বিমানগুলো মোতায়েন করা হচ্ছে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আওতার বাইরে। আর পেন্টাগনের কর্মকর্তারা জানান, যথাযথ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলেই ইরানের ওপর হামলা শুরু করবে বি-৫২ বিমানগুলো।
যদিও এই বোমারু বিমানগুলো মোতায়েন করার অর্থ কিন্তু এমন নয় যে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলার কোনো পরিকল্পনা করেছে। তাছাড়া এসব বিমান থেকে এখনই কোনো হামলার নির্দেশনাও দেওয়া হয়নি। পেন্টাগন প্রায়ই দীর্ঘ পরিসরে বোমারু এবং অন্যান্য বিমান মোতায়েন করে থাকে। এর মাধ্যমে মার্কিন বাহিনীর অবস্থান এবং সক্ষমতার জানান দেওয়া হয়।
এর আগে গত বছর কাতারে বি-৫২ বোমারু বিমান মোতায়েন করা হয়েছিল। সে সময়ও ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা চলছিল। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, এখন এসব বিমান মোতায়েন করার জন্য ডিয়েগো গার্সিয়া ঘাঁটিকে নির্বাচন করা হয়েছে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আওতা থেকে দূরে থাকার জন্য।
গত শুক্রবার বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় ইরানের এলিট ফোর্স আল কুদস প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহত হওয়ার পর তেহরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দুই দেশের নেতারা পরষ্পরের বিরুদ্ধে নানা রকম হামলার হুমকি দিয়ে চলেছেন। এ অবস্থায় মার্কিনেোমারু বিমান মেতায়েনের এই খবর যথেষ্ট উদ্বেগের। কেননা যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্রে যদ্ধ শুরু হলে তা কেবল এই দুই দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে এমন নয়। বরং এই যুদ্ধে গোটা বিশ্ব প্রভাবিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Other
