ভোলার ইলিশা বিশ্বরোড লঞ্চঘাটে একটি পন্টুনের অভাবে চরম আকারে যাত্রী দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। সেখানে বন্দর বিভাগ যাত্রীদের ওঠা-নামার জন্য পন্টুনের ব্যবস্থা না করায় প্রাণহানির শঙ্কা রয়ে যাচ্ছে।
যাত্রীদের অভিযোগ- প্রতিদিন শত শত যাত্রী বিশ্বরোড ঘাট দিয়ে যাতায়াত করলেও এই ঘাটে স্থাপন করা হয়নি কোনো পন্টুন।’
এতে দুর্ঘটনা মাথায় নিয়েই লঞ্চে ওঠা-নামা করতে হয় তাদের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কোনো মাথা ব্যথা নেই কর্তৃপক্ষের।
মঙ্গলবার ঘড়ির কাটায় রাত দেড়টা, ঠিক তখনি ঘাটে ভিড়লো হাতিয়াগামী লঞ্চ ফারহান-৩।
ঘাটে নোঙর করার সঙ্গেই সঙ্গেই শুরু হয় যাত্রীদের হাক ডাক- কোলাহল। একপর্যায়ে শুরু হলো যাত্রীদের ওঠা-নামা।
গন্তব্যে পৌঁছার জন্য মুখে হাসি ফুটলেও যেন মুহূর্তের মধ্যেই তা মলিন হয়ে যায়। চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ। কারণ ঘাটে পন্টুন না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে তাদের লঞ্চ থেকে নামতে ও উঠতে হয়। তবুও দুর্ঘটনার ঝুঁকি মাথায় নিয়েই ওঠা-নামা করেন তারা।
এ চিত্র ভোলা সদরের ইলিশা বিশ্বরোড নামক একটি লঞ্চ ঘাটের। যেখানে প্রতিদিন গভীর রাতে যাত্রীদের চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে- ভাঙন কবলিত ইলিশা ইউনিয়নের বিশ্বরোড ঘাটের দুরবস্তা। ঘাটে নেই কোনো পন্টুন কিংবা যাত্রীদের বসার স্থান। লঞ্চের জন্য যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থেকে বা দোকানের ভেতরে আশ্রয় নিতে হয়। বেশি বিড়ম্বনায় পড়তে হয় নারী ও শিশুদের।’
ঘাটে ইজারা বসিয়ে রাজস্ব আদায় হলেও যেন যাত্রীর জন্য নেই বিন্দুমাত্র সুযোগ-সুবিধা। কাদা মাটিতে কাঠের সিঁড়ি বেয়ে যাত্রীদের উঠা-নামা করতে হয়।”
ঘাটের ব্যবসায়ীরা বরিশালটাইমসকে জানালেন- লঞ্চে উঠতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। তাছাড়া বর্ষা মৌসুমে ঘাটটি আরো নাজুক হয়ে পড়ে।
লঞ্চের যাত্রী সিহাব, হেলাল, তোফাজ্জল, তপুসহ আরও অনেকে বরিশালটাইমসকে বলেন- বিশ্বরোড ঘাটটি ভোলা সদরের সাথে মনপুরা ও হাতিয়ার যোগাযোগের অন্যতম একটি সহজ মাধ্যম। কারণ, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা এবং মনপুরা ও হাতিয়া থেকে আসা ঢাকাগামী লঞ্চ এই ঘাটে নোঙর করে।
কিন্তু এ ঘাটে পন্টুন না থাকায় যাত্রীদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। তাই যাত্রীদের দাবি যতদ্রুত সম্ভব এ ঘাটে একটি পন্টুন স্থাপন করা হোক।”
শিরোনামখবর বিজ্ঞপ্তি, ভোলা