মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু কি সহানুভুতি মানুষ পেতে পারে না ? ও বন্ধু——- এই গানটির সাথে জড়িয়ে আছে মানব জীবনের জয়গান। যা যুগ যুগ ধরে মানুষকে একটু সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসতে অনুপ্রাণিত করে । কলকাতার বিখ্যাত সংগীর শিল্পী ভূপেন হাজারিকার এই বিখ্যাত গানের লাইনটি কি বাবুগঞ্জের ইয়াসমিনের ক্ষেত্রে বাস্তবে রুপ নিতে পারে না?
এমক একটি প্রশ্ন সকলের মুখে। আমাদের একটু খানি সহানুভুতিই ইয়াসমিন তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে। স্বপ্ন দেখতে পারে উপর্জনহীন বাবার মাকে নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে হলেও সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার ! ইয়াসমিন ! এক সংগ্রামী নারী। যে অসচ্ছল পরিবেশে জন্মনিয়েও নিজেকে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন বাবা-মা আর ছোট ছোট ভাই, বোন দের আসল অভিবাবক হিসেবে!
তুলে দিতে চেয়েছিলেন ঘরে পরে থাকা অসুস্থ্য সত্তোরোর্ধ বাবার ছায়া হয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের মুখে অন্ন। কিন্তু কীভাবে সম্ভব ? ইয়াসমিন নিজেই তো ধীরে ধীরে পঙ্গুত্ববরণের পথে চলছে ! ধুকে ধুকে ধোয়াসা হচ্ছে ইয়াসমিনের স্বপ্ন। বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের মানিককাঠী গ্রামের মো. আমির হোসেন এবং মিনারা দম্পতির ৪ মেয়ে ১ ছেলের মধ্যে মেঝ কন্যা ইয়াসমিন।
জখন মাত্র পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী, তখন সামান্য জ্বরে তার দুটি পা অবস হয়ে হয়। অসহায় দরিদ্র পরিবারটি ইয়াসমিনের সাধ্যমত চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেও এক সময় অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে যায় ইয়াসমিনের চিকিৎসা সেবা। সেই থেকে চলে ইয়াসমিনের সংগ্রামী জীবন।
এর পর যখন অষ্টম শ্রেণিতে পড়েন ঠিক তখনই আবার অসুস্থ্য হন একই কারণে, পরিবার থেকে ইয়সিমিনের সাধ্যমত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেন। চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে সেখানের ডাক্তারের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চিকিৎসার জন্য ডাক্তার প্রায় ৩০ হাজার টাকার একটি হিসাব দেন।
হিসাব দেখে ইয়াসমিনের ঢাকা শহরের বাসার দারোয়ানের চাকুরী করা পিতার ভ্রু কুঁচকে উঠে কোথায় পাবে এতো টাকা কিভাবে হবে মেয়ের চিকিৎসা? অর্থ সংকটে হতাশ হয়ে বিনা চিকিৎসায় ফিরে আসেন বাড়িতে। দু’পা অচল অবস্থায় ইয়াসমিন ২০০৬ সালে এসএসসি পাশ করেন, ২০০৮ সালের এইচএসসি এবং ২০১১ সালে কৃতিত্বের সাথে বিএ পাশ করেন। বর্তমানে ইয়াসমিন বাংলাদেশ সরকারের ন্যাশনাল কর্মসূচির আওতায় ৬ হাজার টাকা বেতনে বাবুগঞ্জের কর্মরত রয়েছেন।
কিন্তু গত ১ বছর যাবত ইয়াসমিনের দু’পায়ের অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। কারও সাহায্য ছাড়া হাঁটতে পারেণা এমন পরিস্তিতিতে ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী ভারতে চিকিৎসা নেয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন অসহায় ইয়াসমিন! এ জন্য প্রয়োজন ১ লক্ষ টাকা। যা দরিদ্র ইয়াসমিনের পক্ষে সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। আমরা কি পারি না আসহায় ইয়াসমিনকে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে তার পঙ্গুত্ববরণের পথ থেকে তাকে ফিরিয়ে আনতে ? হ্যাঁ আমারই পারি ১ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে ইয়াসমিনের চিকিৎসা সেবা নিশ্চত করতে। তাই আপনাদের কাছে ইয়াসমিনের জন্য এই সামান্য অর্থ সাহায্য চাই।’’
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, বাবুগঞ্জ,
মোবাইল নম্বর ০১৭১১-১১৩৩৯৩, ইয়াসমিন মোবাইল নম্বর ০১৭৫০-৬২৩৩৮২।
মোবাইল সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব, মোবাইল নম্বর ০১৭১৫-৯৫১৭৮৩
বরিশালের খবর