জহির খান, বরিশাল:: আগামীকাল শনিবার মুসলমানদের পবিত্র ঈদুল আযহা। মধ্যে শুধু শুক্রবার রাতটাই বাকি। তাই বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বরিশাল লঞ্চ টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে কোথাও চোখে পড়েনি করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মানার দৃশ্য। এ যেন অনিয়মই নিয়মে পরিণত হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ পরিচালনার নির্দেশনা থাকলেও মালিক ও যাত্রীরা তা তোয়াক্কা করছেন না। এনিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী ও লঞ্চ কর্তৃপক্ষ রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে।
শুক্রবার ভোররাতে সরেজমিনে বরিশাল লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, টার্মিনালের পন্টুনে তিল পরিমাণ জায়গাও ফাঁকা নেই। ফলে টার্মিনালের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব কোনো ভাবেই বজায় রাখা যাচ্ছে না। লঞ্চ যাত্রীদের ৯০ শতাংশ মাস্কের সঠিক ব্যবহার করছেন না। পুরো টার্মিনালের পন্টুন জুড়ে ঠাসাঠাসি অবস্থা। পেছনের বছরগুলোর মতো একজনের শরীরের সাথে ধাক্কাধাক্কি করে আরেকজন লঞ্চ ও পল্টুন থেকে বের হচ্ছেন। মনে করোনাভাইরাস বলতে দেশে এখন আরও কিছুই নেই।
অপরদিকে রাজধানীর সদরঘাট থেকে বরিশাল টার্মিনালে ফেরা বেশিরভাগ লঞ্চকে দেখা গেছে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রীবহন করছে। লঞ্চের ছাদেও যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। কিছু লঞ্চের প্রবেশ পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে দিলেও অনেকেই তা মানছেন না। অনেক যাত্রীকে নাক-মুখ না ঢেকে থুতনি বা কানের সঙ্গে মাস্ক ঝুলিয়ে রেখেছে। প্রায় সবগুলো লঞ্চের ডেকের যাত্রীদের গাদাগাদি করে বসে থাকতে দেখা গেছে।
বরিশাল লঞ্চ টার্মিনালের একাধিক কর্মচারী বলেন, ঢাকা থেকে আসা লঞ্চের সামনের ফাঁকা স্থানেও যাত্রীরা চাদর পেতে বসে আছেন। কোন কোন লঞ্চ দ্বিগুণ যাত্রী নিয়েও আসছে।
একাধিক লঞ্চ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লঞ্চ চলাচলে সরকারের সব নির্দেশনা ঈদের কারণে মানতে পারছি না। লঞ্চে ওঠার সময় যাত্রীদের স্যানিটাইজার ব্যবহারে বাধ্য করা গেলেও মাস্ক পরা কোনোভাবেই নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
এদিকে বরিশাল নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ বলছে, ঈদের দিন সকাল অর্থাৎ শনিবার পর্যন্ত বরিশাল লঞ্চ টার্মিনালে ঘরে ফেরা মানুষের এ চাপ অব্যাহত থাকবে। এমনকি এর থেকেও চাপ বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
লিড নিউজবরিশালের খবর