বরিশালের উজিরপুরের শিকারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয় ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ছবি সম্বলিত সাইনবোর্ড ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার শিকারপুর বন্দরস্থ এলাকায়।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই শিকারপুর শের-ই বাংলা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আল-মামুন মৃধা বাদী হয়ে ওই এলাকার চিহ্নিত বিএনপি-জামায়াতে ৬ সন্ত্রাসীর নাম উল্লেখ করে উজিরপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক মাস পূর্বে শিকারপুর বন্দরস্থ বঙ্গবন্ধু অস্থায়ী হাসপাতাল ও স্মৃতি পাঠাগারের জমি দখলের জন্য পাকা স্থাপনা নির্মান কাজ শুরু করে উজিরপুর উপজেলার পূর্ব ধামসর গ্রামের মৃত মাহাবুবুর রহমানের পুত্র বিএনপি নেতা মশিউর রহমান ও মাহফুজুর রহমান।
এ নিয়ে স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ীরা বাধা দিলে তৎকালীন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুম্পা সিকদার সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।
এরপর বাজারের ব্যবসায়ীরা স্থানীয়দের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি রক্ষায় সেখানে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার ও শিকারপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয়ের সাইনবোর্ড লাগিয়ে সেখান থেকে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার দুপুরে বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান দুলাল, মশিউর রহমান ও মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে স্থানীয় শহিদ ভূইয়া, রাজিব ভূইয়া, কুদ্দুস হাওলাদারসহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনের একদল সন্ত্রাসী বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে হামলা চালায়।
এ সময় সন্ত্রাসীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সাইনবোর্ড ভাংচুর করে পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
বিষয়টি মামলার বাদী ও স্বাক্ষীরা দেখতে পেয়ে ডাকচিৎকার দিয়ে ধাওয়া দিলে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা মোটর সাইকেলযোগে পালিয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শিকারপুর ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন জানান, শুক্রবার দুপুরে বাজারের লোকজন নামাজে থাকার সময় শিকারপুর বন্দরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার ও আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে চিহ্নিত ওই সকল সন্ত্রাসীরা। বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দদের অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় শিকারপুর ইউনিয়ন আ’লীগের নেতা কবির হোসেন মৃধা, হারুন মৃধা, সুমন মৃধা ও মামলার বাদী ওই ছাত্রলীগ নেতাসহ আরো অনেকে থানা পুলিশের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশ খুব উদাসীন। তারা তেমন কোনো গুরুত্ব দিচ্ছেন না। সন্ত্রাসীরা এ ধরনের কাজ করে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না।
তবে এ বিষয়ে উজিরপুর মডেল থানার ওসি শিশির কুমাল পাল জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরিশালের খবর