বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের গাববাড়ি গ্রামের অসহায় দিনমজুরের ৮ বছরের শিশু কন্যা ও গাববাড়ি নুরানী মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটি বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে ওই শিশুর পিতা বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে।
থানা পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উজিরপুর উপজেলার বরাকোঠা ইউনিয়নের গাববাড়ি গ্রামের দিনমজুরের শিশু কন্যা (৮) মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে বাড়ির পাশে তাদের পুরাতন বাড়িতে অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলাধুলা করতে যায়। খেলা শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে একই এলাকার সুলতান সিকদারের বখাটে ছেলে মো. নাঈম সিকদার (১৯) শিশুটিকে প্রথমে টাকার প্রলোভন দেখায়।
রাজি না হওয়ায় একপর্যায়ে শিশুটিকে মুখ চেপে ধরে নাঈম তাদের ঘরের পিছনের বাগানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে শিশুটির কান্না শুনে প্রতিবেশীরা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে শিশুটি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে ধর্ষক নাঈম বুধবার দুপুরে উজিরপুর থানা হাজতে থাকাকালীন ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করে বরিশালটাইমসকে বলেন, বখাটে নাঈম যে শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে তার সত্যতা পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ধর্ষিত শিশুর বাবা বাদী হয়ে বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে ধর্ষক নাঈমের বিরুদ্ধে উজিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ ধর্ষক নাঈমকে গ্রেপ্তার করেছে।
একই সাথে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে শিশুটির উন্নত চিকিৎসা চলছে। সুস্থ্য হলে ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে।’
বরিশালের খবর