উজিরপুরের একাধিক মামলার আসামি এনায়েত হোসেন খানের ভিত্তিহীন চাঁদাবাজির অভিযোগে শিকারপুর বন্দরের এক ব্যবসায়ীকে উজিরপুর থানা পুলিশ প্রকাশ্যে দোকান থেকে টেনে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে ও ব্যবসায়ী নান্নু সিকদারের মুক্তির দাবিতে বাজারের প্রায় পাঁচশত দোকান ঘর বন্ধ রেখে ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ জানান।
স্থানীয় জনতা পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে ঝাড়ু হাতে বিক্ষোভ মিছিল করে। বুধবার (০৪ জুলাই) বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে- উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর বন্দরের ফার্মেসী ব্যবসায়ী ও উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নান্নু সিকদারের সাথে জয়শ্রী গ্রামের মৃত কলম খানের পুত্র এনায়েত খান’র দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। বুধবার সকালে এনায়েত খান নান্নু সিকদারকে মারধর করেন। এ ঘটনার পর নান্নু সিকদার এনায়েত খানের ওপর চড়াও হলে এনায়েত খান দুপুরে উজিরপুর মডেল থানায় একটি চাঁদাবাজির অভিযোগ দেন। ওই ঘটনায় সাথে সাথে উজিরপুর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) তৌহিদুল ইসলাম একদল পুলিশ নিয়ে শিকারপুর বন্দরস্থ সিকদার ফার্মেসীতে গিয়ে নান্নু সিকদারকে গাড়িতে তুলে নেন।
এসময় সজল ও কিশোর দাস নামক স্থানীয় দুই ছাত্রলীগ নেতা ও কলেজছাত্র নান্নু সিকদারকে গ্রেফতারের কারণ জানতে চাইলে পুলিশ ওই দুই ছাত্রকে লাঞ্ছিত করে নান্নু সিকদারকে নিয়ে চলে যায়। বিষয়টি ব্যবসায়ীদের মধ্যে জানাজানি হলে শিকারপুর বন্দর ব্যবসায়ী কমিটির দোকানপাট ধর্মঘটের ডাক দেন। পরে উপজেলা আ’লীগের শীর্ষ নেতারা ও বাজার কমিটির ব্যবসায়ীরা থানায় গেলে নান্নু সিকদারকে ওসি ছেড়ে দেয়।
শিকারপুর বন্দর ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম করিম জানিয়েছেন- বাজারের ব্যবসায়ী নান্নু সিকদারকে পুলিশ মামলা ছাড়া তুলে নেয়ায় আমরা ধর্মঘট আহব্বান করে দোকানপাট বন্ধ রেখেছি।
উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকার্তা (ওসি) শিশির পালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বরিশালটাইমসকে বলেন- দুই সাংবাদিক ব্যবসায়িদের জোর করে মাঠে নামিয়ে ঝাড়ু মিছিল করিয়েছেন।’
শিরোনামবরিশালের খবর