বরিশালের উজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবালের বিরুদ্ধে দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও স্বররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিকট লিখিত অভিযোগ দায়েরকারী সেই মঞ্জুর ওপর প্রকাশ্যে হামলা করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বেলা ১টার দিকে ডাকবাংলোর সামনে উপজেলা চেয়ারম্যান’র ক্যাডাররা প্রকাশ্যে অভিযোগকারীর ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পরপরই ইকবাল বিরোধীরাও জড়ো হলে সংঘাত এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
হামলার শিকার মঞ্জু খান জানিয়েছেন- বিদেশে অর্থ পাচার, খুন, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে দুর্ব্যবহার, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসাসহ ১১টি অভিযোগ এনে একটি আবেদন তিনি সেতুমন্ত্রী ও স্বররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিকট দায়ের করেছেন।
বর্তমানে সেই অভিযোগগুলোর তদন্ত চলছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত কয়েকদিন ধরে উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল ও তার ক্যাডাররা আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার ডাকবাংলোর সামনে উপজেলা চেয়ারম্যানের সহযোগী সদ্য আওয়ামীলীগের যোগদানকারীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন হামলার শিকার আওয়ামী লীগ নেতা মো. মঞ্জু খান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান- হামলার খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগের দুই গ্র“পের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে স্বল্প সময়ের মধ্যে মঞ্জু খান ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকরা ডাকবাংলো চত্বরে জড়ো হতে থাকলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় স্থানীয় ডাকবাংলোতে দলীয় জরুরি সভায় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস।
তিনি বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক থানার ভারপ্রাপ্ত ওসিকে অবহিত করেন। পরবর্তীতে থানার ওসির নেতৃত্বে ডাকবাংলো চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে এলাকাবাসী।
আ’লীগ নেতা মো. মঞ্জু খান অভিযোগ করেন- দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান ইকবালের সহযোগী সাবেক সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ইকবাল বালীর নেতৃত্বে ছাত্রদল থেকে সদ্য আ’লীগের যোগদান করা কামাল হোসেন, ফিরোজ ও তাদের সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে ডাকবাংলোর সামনে তার ওপর হামলা চালায়।
এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা খবির হোসেন ও শিপন মোল্লা এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার হারতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা (রহস্যজনকভাবে দীর্ঘদিন থেকে নিখোঁজ) হুমায়ুন খানের সহোদর আওয়ামী লীগ নেতা মশাং গ্রামের বাসিন্দা মো. মঞ্জু খানের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অতিসম্প্রতি দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবালের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।”
শিরোনামবরিশালের খবর