বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৬:৩২ অপরাহ্ণ, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬
আজ ৮ ডিসেম্বর পটুয়াখালী জেলা পাকিস্তান হানাদারদের কবল থেকে মুক্ত হয়েছিল। এদিন সকাল ৯টায় শহরের শহীদ আলাউদ্দিন শিশুপার্কে মুক্তিযোদ্ধারা “জয় বাংলা” শ্লোগান দিয়ে বাংলার লাল সবুজের পতাকা উত্তোলন করেন ।
১৯৭১ সালের ২৬ এপ্রিল প্রথম পাক হানাদার বাহিনী পটুয়াখালীকে দখল করে শহরের নিরস্ত্র জনতার উপর চালায় গণহত্যা। পাক সেনাদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে সেদিন পটুয়াখালীতে প্রথম শহীদ হয় জেলা প্রশাসক বাংলোর সাত আনসার সদস্য। শহরের সার্কিট হাউজে বসে সমস্ত কিছু পরিকল্পনা করে পাক বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকাররা। পাক সেনারা শুধু শহরের মাতবর বাড়িতেই হত্যা করে ১৯ জন নারী-পুরুষকে। এমনিভাবে শহরের বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে হত্যা করা হয় শত শত নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোরকে। শহরের যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে লাশ আর লাশ।
যুদ্ধকালীন সময়ে গলাচিপা পানপট্টিতে পাক হানাদার বাহিনীদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী পিছু হটে পালিয়ে যায়। প্রায় আট মাস যুদ্ধের পর ৮ ডিসেম্বর শহরের শহীদ আলাউদ্দিন শিশুপার্কে হাজারও জনতাকে সঙ্গে নিয়ে লাল সবুজের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে পটুয়াখালীতে শক্র মুক্ত ঘোষণা করেন মুক্তিযোদ্ধারা।
আজ ৪৫ বছর পরেও সরকারের কাছে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবার গুলোর দাবি জেলার গণকবরসহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলো রক্ষণাবেক্ষণ জন্য ।
পটুয়াখালী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ডার এম এ হালিম জনান, প্রতি বছর যথাযোগ্য মর্যাদায় ৮ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সকালে র্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।