বরগুনায় চলমান বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ ওঠায় সদর উপজেলার ২৪৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মঙ্গলবারের অনুষ্ঠিতব্য চতুর্থ শ্রেণির ইংরেজি পরীক্ষা স্থগিত করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মজিদ বরিশালটাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন- প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনায় জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় তাৎক্ষণিকভাবে বরগুনা সদর উপজেলার ২৪৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মঙ্গলবারের অনুষ্ঠিতব্য ইংরেজি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সেই সাথে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব্য ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্ন সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বরগুনার একটি কম্পিউটারের দোকানে ফটোকপি করতে আসেন একটি বিদ্যালয়ের একজন অভিভাবক।
ওই সময় কৌশলে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে রাখেন এক ব্যক্তি। পরে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালে স্থানীয় সংবাদকর্মী আবু জাফর সালেহ জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন ফেসবুক গ্রুপ সিটিজেন ভয়েস এ প্রশ্নপত্র ফাঁস সংশ্লিষ্ট একটি পোস্ট দেন।
পোস্টটি দেখে বিষয়টি তাৎক্ষণিক আমলে নিয়ে জেলা প্রশাসন জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র যাচাই করে মিল পাওয়ায় পরীক্ষা স্থগিতের নির্দেশ জেলা প্রশাসক মো. মোখলেছুর রহমান।
বরগুনা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. নুরুজ্জামান বরিশালটাইমসকে বলেন- বিষয়টি আমাদের নজরে আসার সাথে সাথে জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রশ্নপত্র যাচাই করে প্রমাণ পাওয়ায় পরীক্ষা স্থগিত করা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে নতুন প্রশ্ন করে পুনরায় এসকল বিদ্যালয়ে আবারও পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।
ত্ছাড়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত কাউকে শনাক্ত করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বরিশালটাইমসকে বলেন, এখনো কে বা কারা প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে জড়িতদের ধরতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।’
শিরোনামবরগুনা