৯ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

এক রাতের বৃষ্টিতেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মাণাধীন ঘরে ফাটল!

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৪:১৯ অপরাহ্ণ, ২১ মার্চ ২০২৩

এক রাতের বৃষ্টিতেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মাণাধীন ঘরে ফাটল!

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের তিনটি ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। ঘরগুলো হস্তান্তরের আগেই ফাটল দেখা দেওয়ায় নিম্নমানের কাজের অভিয়োগ তুলেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সরকারি জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে ১২টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর। এখনও নির্মাণ শ্রমিকরা কাজ করছেন ঘরগুলাতে। এর মধ্যেই নির্মাণাধীন তিনটি ঘর দেবে গিয়ে দেয়ালে ফাটল ধরেছে।

স্থানীয়রা জানান, পুরাতন একটি হাসপাতাল নিলামে বিক্রির পর সেই স্থানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করে কর্তৃপক্ষ। সেখানে মাটি ভরাটের পর ভালোভাবে না পিটিয়ে ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়।

ফলে দুইদিনের সামান্ন বৃষ্টিতেই মাটি দেবে গিয়ে ঘরগুলোতে ফাটল ধরেছে। এছাড়া ঘরগুলো নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রীও ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা। এ কারণে কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফাটল ধলা ঘরগুলো ভেঙে পূণরায় নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও ঘর প্রত্যাশীরা।

সল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ইউপি সদস্য আজহার আলী প্রামানিক সাংবাদিকদের জানান, মাটি ভরাটের পর ভালোভাবে পেটানোর কথা বললেও কর্তৃপক্ষ বা কাজে তদারকির দায়িত্বে থাকা লোকজন কোনো কথা শুনেননি। এর ফলে ঘরগুলো দেবে গিয়ে দেয়ালে ফাটল ধরেছে।

সল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রম্যান আব্দুল আলীম সাংবাদিকদের জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ঘর নির্মাণের আগে দেখে গেছেন।কিন্তু তারা ওই সময় বুঝতে পারেননি যে এভাবে দেবে যাবে। তিনি নিজেও নির্মাণ শ্রমিকদের বলেছিলেন যেন, নতুন মাটি ভরাটের স্থানে ভালোভাবে গম্বুজ দিয়ে পিটিয়ে ওই স্থানটি শক্ত করা হয়।

কিন্তু তারা সেটি না করেই ঘর নির্মাণ শুরু করেন। এর ফলে এক রাতের বৃষ্টিতেই তিনটি ঘরের মেঝে দেবে গিয়ে দেয়ালে ফাটল ধরেছে।

এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুল হুসেইন সাংবাদিকদের জানান, ১২টি ঘরের মধ্যে তিনটি ঘর নতুন করে যে স্থানে মাটি ফেলে ভরাট করা হয়েছিল সেই জায়গায় করা হয়েছে। গত রাতে বৃষ্টির কারণে সেখানের মাটি দেবে যায়। এ কারণে ওই তিনটি ঘরে ফাটল ধরেছে। ঘরগুলো ভেঙে পুণরায় নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

30 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন