বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১২:২৫ পূর্বাহ্ণ, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার জন্য এবার সব উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সব উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে পর্যায়ক্রমে বদলি করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বর্তমান কর্মস্থলে এক বছরের অধিক চাকরি সম্পন্ন হয়েছে তাদের অন্য জেলায় বদলির প্রস্তাব আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করা প্রয়োজন। ইসি সচিবালয়ের উপ-সচিব (চলতি দায়িত্ব) মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী সাক্ষাৎ করেন। ওই সাক্ষাতের পরপরই ইসির পক্ষ থেকে এই বদলির প্রস্তাবনা পাঠানো হয় বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত করতে সিইসির সঙ্গে বৈঠকে ইউএনও ও ওসিদের বদলির সিদ্ধান্ত হয়।
কিন্তু সংবিধান ও আরপিওর নির্দেশনা অনুযায়ী, জেলা প্রশাসক, ডিএমপি কমিশনার ও তাদের অধস্তন কর্মকর্তাদের বদলির ক্ষেত্রে ইসির পূর্ব অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। যে কারণে ইসি সচিবালয়ের পক্ষ থেকে গত ৩০ নভেম্বর ওই চিঠি ইস্যু করা হয়।
সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ এবং আরপিও-এর ৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচনের কাজে সহায়তা দেওয়া নির্বাহী বিভাগের কর্তব্য। কোনো কর্মকর্তা দায়িত্ব পাওয়ার পরে তাকে অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তিনি ইসির অধীনে প্রেষণে আছেন বলে গণ্য হবে।
এ ছাড়া আরপিও-এর ৪৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচনের সময়সূচি জারি হওয়ার পর থেকে ফল ঘোষণার পর ১৫ দিন পর্যন্ত ইসির অনুমতি ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি না করার বিধান রয়েছে।
এর আগে দেশের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বদলির নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষে পর্যায়ক্রমে বদলি করার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।’