সাতক্ষীরায় সাকিব হোসেন (১৬) নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রের সহপাঠী রাশেদুল ইসলাম আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে শহরের বকচরা বাইপাস সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
নিহত সাকিব শহরের পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ও পুলিশ কনস্টেবল নজরুল ইসলামের একমাত্র সন্তান। আহত রাশেদুল একই বিদ্যালয়ের একই শ্রেণির ছাত্র ও শহরের রসুলপুর এলাকার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আব্দুল আজিজের ছেলে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাশেদুল ইসলাম জানায়- সাকিব, সামিউজ্জামান ও সে- তিন বন্ধু মিলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বকচরা মাদ্রাসায় মাহফিল শুনতে যায়। সেখানে শহরের কামালনগর কলোনির আব্দুল কাদের ও শান্তর সঙ্গে সাকিবের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে তা সমাধান হয়ে যায়। রাত ১০টার দিকে তারা তিনজন বাড়ি ফিরে আসছিল।
পথে বাইপাস সড়কে কাদের ও শান্তর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন লাঠি হাতে তিন বন্ধুকে আটকায়। এ সময় একজন এক মেয়ের নাম উল্লেখ করে বলে, ‘ওই মেয়েকে আমি ভালবাসি, তুই ওর দিকে তাকাস!’ এই বলেই সাকিবকে তারা লাঠি ও গাছের ডাল দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে শুরু করে। এ সময় রাশেদুল থামাতে গেলে তাকেও তারা মারতে থাকে। একপর্যায়ে সাকিব লুটিয়ে পড়লে তাকে ফেলে রেখে তারা চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন সাকিব ও তাঁকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
চিকিৎসারা জানান, সাকিব আগেই মারা গেছে। রাশেদকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সাকিবের বাবা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সরশকাটি পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত কনস্টেবল নজরুল ইসলাম বলেন, সাকিব তাঁর একমাত্র সন্তান। তার ছেলে যদি কোনো অন্যায় করে থাকে, তাহলে তিনি কি একবার শাসন করারও সুযোগ পেতে পারেন না? তিনি এ বিচার কার কাছে চাইবেন?
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুফ আহমেদ জানান, একজন স্কুলছাত্রীসহ ছয়জনকে রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নিয়ে আসা হয়েছে। রাতেই ছাত্রীকে তার অভিভাবকের জিম্মায় দিয়েছেন।
বিভাগের খবর