কাঁঠালিয়ার পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের আমুয়া-মরিচবুনিয়ার চারাঘাটা মিস্ত্রীখালের সাঁকোটি দুই বছর আগে ভেঙে গেছে। সেখানে কোনও সেতু বা সাঁকো তৈরি না হওয়ায় নিজেদের তৈরি করা কলাগাছের ভেলায় চড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে শত শত শিশু-শিক্ষার্থী।
কাঁঠালিয়া উপজেলার মিস্তুরী নামে খালের সামনেই রয়েছে ৩৯নং পশ্চিম ছোনাউটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই বিদ্যালয়ের সামনে দূরদুরান্ত থেকে সহজে এবং অল্প সময়ে সড়ক ও বিদ্যালয়ে আসতে একটি সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছিল। সাঁকোটির একাংশ দুই বছর আগে ভেঙে যায়। অথচ এটিই ছিল সহজে আসা-যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম।
এ ছাড়া কিছু কিছু শিক্ষার্থী প্রায় ৫ কিলোমিটার না ঘুরে নিজেদের তৈরি করা কলাগাছের ভেলা দিয়ে সহজে ও অল্প সময়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করে। এ কারণে অনেক ছাত্র-ছাত্রী বই-খাতা নিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়।
২০১৪ সালের মাঝামাঝি এ সাঁকোটি পানির তোড়ে ভেঙে যায়। দীর্ঘদিনেও ওই স্থানে ব্রিজ নির্মাণ ও ক্ষতিগ্রস্ত সাঁকোটি সংস্কার না করায় ৪ কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছে শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। তাই সময় বাঁচাতে শিক্ষার্থীরা কলা গাছ দিয়ে বেলা তৈরি করে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করছে।
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সোহাগ জানায়, ‘কলাগাছের বোরে (ভেলায়) বই-খাতা নিয়ে পার হওয়ার সময় পানিতে ভিজে ও খালে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ওই স্থানে দ্রুত সাঁকোটি সংস্কার করে একটি ব্রিজ নির্মাণের।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মুকুল আক্তার জানান, ‘আমাদের বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় দেড় শতাধীক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে, আমাদের বিদ্যালয়ের সামনের খালের ভাঙা সাঁকোটি ঠিক করা অথবা একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হলে বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা আরও বাড়বে। সাঁকো না থাকায় ছাত্র ছাত্রীরা নিয়মিত স্কুলে আসতে পারে না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সোনা মিয়া বলেন, ‘আমি স্থানীয় যুবকদের নিয়ে স্বেচ্ছা শ্রমে বহুবার এই সাঁকোটি সংস্কার করেছি। এবার আমি নিজের কাজে ব্যস্ত থাকায় সাঁকোটি মেরামত করতে দেরি হয়েছে। আমি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় যুবকদের সহায়তায় মেরামত করে দেবো।’
খবর বিজ্ঞপ্তি, ঝালকাঠির খবর