কলাগাছের পুরোটাই উপমহাদেশের সংস্কৃতিতে ব্যবহার্য। কলার ফুল, ফল, কাণ্ড এবং পাতা— সব কিছুই কোনও না কোনওভাবে কাজে লাগে। কলাপাতায় খাবার পরিবেশন, পুরানো দিনের রীতি। পুরনো দিনে দেবতার নৈবেদ্য থেকে অনুষ্ঠানবাড়ির ভোজ, সবই পরিবেশন করা হত কলাপাতায়।
কিন্তু দেশে এত ধরনের গাছ আর রকমারি পাতা থাকতে শুধু কলাপাতাতেই কেন, কারণটা কখনও ভেবে দেখেছেন। পুরনো দিনের মানুষরা হয়ত এতটা গভীরে ভাবেননি যে কলাপাতায় আছে প্রচুর খাদ্যগুণ। পরিবেশিত খাদ্যের সঙ্গে মিশে তা খাবারকে আরও গুণাম্বিত করে তোলে।
যেমন কলাপাতায় আছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট পলিফেনলস্। যখন খাবার কলাপাতায় পরিবশন করা হয়, তখন ওই পলিফেনলস্ খাবারের মধ্যের ঢুকে তা রোগ নিরোধক করে তোলে এবং খাবারের মধ্যের ব্যাক্টেরিয়া মেরে ফেলে। তাছাড়া কলাপাতার উপরের মোটা মোমের মতো পরত পাতার উপর কোনও ধুলোময়লা লেগে থাকতে দেয় না। ফলে খাবারও পরিশুদ্ধ থাকে।
কলাপাতা সুলভ এবং পরিবেশবান্ধব। থার্মোকলের থালার মতো দূষণ ছড়ায় না। সহজে মেলে তাই বাসন কেনা বা ভাড়ার হ্যাপা নেই। এবং যেহেতু একটা কলাপাতায় একবারই ভোজন পরিবেশন করা যায় সেহেতু পরিচ্ছন্ন নিয়েও কোনও প্রশ্ন নেই।
বিশেষ খবর