কলাপাড়া: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় হতদরিদ্র ভূমিহীন পরিবারের মাঝে দেয়া আশ্রয়ন কেন্দ্র গুলো একেবারেই জীর্ণদশা হয়ে গেছে। ব্যারাকে থাকা ওইসব পরিবারের লোকজনের বসবাস করাই অনোপুযোগী হয়ে পরেছে। ঘরে বসে বৃষ্টিতে ভেজা আর রাতে শুয়ে চাঁদ দেখাও তাদের কাছে নিয়মে পরিনত হয়েছে।
এছাড়া অধিকাংশ আবাসনের ঘর গুলোতে মানুষের বসবাসের পরিবর্তে রাখা হচ্ছে গরু-ছাগল। জোড়াতালি দিয়ে কোন রকমে বসবাস করলেও দিন দিন এ গুলো ভগ্নদশা হয়ে পরছে। এ অঞ্চলের উপর দিয়ে ভয়াবহ সাইক্লোন ঘূর্নিঝড় সিডরের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র ভূমিহীন পরিবারকে সরকার মাথা গোঁজার জন্য ওইসব আশ্রয়ন কেন্দ্র গুলো নির্মান করে দেয়। কিন্তু সঠিক কোন তদারকি কিংবা মেরামতের কোন উদ্যোগ না থাকায় এখন একেবারেই বেহালদশায় পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আশ্রয়ন কেন্দ্র গুলো সম্পূর্ন জরাজীর্ন অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ওইসব আশ্রয়ন কেন্দ্রের আধিকাংশ ব্যারাকে গরু-ছাগল রাখতে দেখা গেছে। এনমকি সুপেয় পানির ব্যবস্থাও নেই। আবাসন তৈরি করার সময় নলকূপের ব্যবস্থা থাকলেও বর্তমানে সে গুলোর কোন অস্তিত্ব নেই। আবার কিছু কিছু ব্যারাকের টিন, লোহার এ্যঙ্গেল অনেক আগেই খোয়া গেছে।
ফতেপুর আবাসনে বসবাসকারী মোসা.মাজেদা বেগম জানান, বৃষ্টির সময় রান্না করতে পারছিনা। একই আবাসনের বৃদ্ধা মালেকা খাতুন বলেন, আবাসনের ঘরগুলোতে বাহিরের লোকজন এসে গরু বান্ধে। এর ফলে মল মুত্রের গন্ধে থাকতে কষ্ট হয়। এছাড়া তাদের কিছু বললে আমাদের গাছ-পালা গরু দিয়ে নষ্ট করে ফেলে। ওই আবাসনের অপর এক গৃহিনী মোসা.খাদিজা বেগম জানান, পানির কল নষ্ট হয়ে গেছে অনেক আগেই। আমাদের অনেক দূর থেকে পানি আনতে হচ্ছে।
ফতেপুর আবাসনের সভাপতি মো.ইমাম হোসেন জানান, কাজের সন্ধানে আবাসন থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে পাখিমারা বাজারে যেতে হয়। তাই আবাসনের লোকজন থাকতেছেনা। নির্মানের পর এ আবাসনের মেরামত করা হয় নাই। তাই আমাদের বসবাস করার অনুপযোগী হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার জানান, আবাসন গুলোর অধিকাংশই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পরেছে। সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।