সংখ্যালঘু গৃহবধু মুক্তা রাণীর (৩০) ঝুলন্ত মৃতদেহ পুলিশ আমগাছ থেকে উদ্ধার করেছে। মহিপুর থানা পুলিশ শুক্রবার দুপুরে লক্ষ্মীর বাজার সংলগ্ন তুলাতলী গ্রামে বাড়ির সামনের আমগাছ থেকে মুক্তার লাশ উদ্ধার করেছে। এঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। মুক্তা রাণী কাকড়া ব্যবসায়ী দুলাল মিত্রের স্ত্রী। পারিবারিক কলহের জের ধরে আত্মহননের এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানায়।
তবে একাধিক সুত্র দাবি করেছে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রী তর্কাতর্কি হয়। ওই ছাত্রীকে নিয়ে মুক্তা রাণী ৯ নবেম্বর, বুধবার কলাপাড়ার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যায়। সেখানে মুক্তার সঙ্গে ওই ছাত্রীর ঝগড়া হয়। ছাত্রীকে স্বীকারোক্তী আদায়ে চর-থাপ্পড় দেয়া হয়। এনিয়ে মহিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে যায় বৃহস্পতিবার। আবার ফিরে আসে।
এনিয়ে এলাকায় গুজব ছড়ায় মামলার। স্থানীয় একটি চক্র আবার ওই ছাত্রীকে নিয়ে আর্থিক সুবিধা আদায়ে মুক্তার পরিবারকে চাপ দেয়। তবে মহিপুর থানার এসআই মনিরুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীসহ কয়েকজন একটি অভিযোগ নিয়ে গিয়েছিল। তখন তিনি থানায় ছিলেন না। ফোনে অপেক্ষা করতে বলেছেন। কিন্তু এসে আর তাদেরকে পাননি। চলে গেছে বলে জানতে পারেন। সবশেষ মুক্তা রাণী চলে গেলেন পরলোকে। তবে বিষয়টি তদন্ত করে আত্মহত্যায় প্ররোচনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি করেছেন সচেতন মহল।