পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নীলগঞ্জ ইউনিয়নের খলিলপুর গ্রামে বুধবার সকাল ৭ টার দিকে ঢাকা-কুয়াকাটা গামী যাত্রীবাহী বাস উল্টে সরবানু (৮০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে অন্তত ২৫ জন।
আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ১৪ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
তারা হলেন- মো. বাবুল হোসেন (৪৫), তানিয়া বেগম (২৮), ফিরোজ (৪৫), সালেহা (৩৫), মামুন (৩৫), রফিক (৩২), আলামিন (২৫), জাকির (৩৫), ইউসুফ (২২), সালাউদ্দিন (২৮), জাফর মৃধা (৩০), শাহিন (২০), রশিদ (২২) এবং সেলিনা (৫০)।
তাদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় তানিয়া বেগম, জাকির হোসেন ও সালেহা বেগমকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সমুদ্র সৈকত পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব ১৪৯৮৪৩) যাত্রীবাহী বাসটি কলাপাড়া-কুয়াকাটা সড়কের খলিলপুর অতিক্রম করার আগে গাড়ির চালক হেলপারকে বাসটি চালাতে দেয়। হেলপার বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালানোর কারনে খলিলপুর এলাকায় রাস্তার ওপর বাসটি উল্টে পড়ে।
এসময় বাসের নীচে চাঁপা পড়ে সরবানু নামে ওই বৃদ্ধা মাথায় গুরুতর আঘাত পান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চিকিৎসা দেয়ার সাথে সাথে তার মৃত্যু হয়।
সে কুয়াকাটার খাজুরা গ্রামের মৃত আবদুল রহমান মোল্লার স্ত্রী বলে জানা গেছে।
কলাপাড়া থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.শহিদুল ইসলাম খান বরিশালটাইমসকে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে বাসটির স্টাফদের কাউকে পাওয়া যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালানোর কারনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন ।’
শিরোনামপটুয়াখালি