কলাপাড়ায় শহরবাসীর নিরাপত্তা বিভিন্ন পয়েন্টে বসেছে সিসি ক্যামেরা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া। শহরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন স্থানগুলোতে এসব সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা চলছে মনিটরিং। এর ফলে কমেছে অপ্রীতিকর ঘটনা।
এরই মধ্যে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শিক্ষক সোহরাব উদ্দিন বিশ্বাসের হারানো কয়েক লক্ষ টাকা উদ্ধারসহ মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
রাস্তাঘাট, অলিগলি, যানবাহন স্ট্যান্ডসহ বেশিরভাগ স্থানই এখন পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে। গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট গুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন একটি যুগান্তকারি পদক্ষেপ, এর দ্বারা অনেকেই উপকৃত হবে এমনটাই বলেছেন ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এবং পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় পটুয়াখালী-০৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মো.মহিবুর রহমান মহিবের আর্থিক সহযোগিতায় এসব সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়।
উপজেলার সিক্স লেন, ফোর লেন, বাসস্ট্যান্ড, শেখ কামাল সেতু সংলগ্ন, হাসপাতাল গেট, পুরনো ফেরি ঘাট চৌরাস্তা, চাকামইয়া ইউনিয়নের প্রবেশ পথ, বালিয়াতলী ইউনিয়নের জিরো পয়েন্ট, মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের প্রবেশপথসহ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
এছাড়া কলাপাড়া পৌরভবন ও শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট ছাড়াও ব্রিজ টোল পয়েন্টসহ অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরার আওতায় রেখেছেন।
তথ্য-প্রযুক্তির অগ্রগতিতে নজরদারি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ এ উদ্যোগের প্রসংশা করছেন অনেকেই। পৌর শহরের ব্যবসায়ী মো.নাজমুল মিয়া বলেন, বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা বসানো একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি হলেও চোর শনাক্ত করা সহজ হবে।
বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ব্যবসায়ী মো.রফিক বলেন, সিসি ক্যামেরা বসানোর ফলে বাসস্ট্যান্ড এরিয়াটি নিরাপত্তায় রয়েছে। এছাড়া চাকামইয়া ইউনিয়নের প্রবেশদ্বারে সিসি ক্যামেরা থাকায় মানুষ এখন নিরাপদে চলাচল করতে পারছে।
পৌরসভার কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো.হুমায়ুন কবির জানান, ইতোমধ্যে পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পৌরসভার পক্ষ থেকে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। পর্যায়ক্রমে বাজারের নিরাপত্তার জন্য আরও বাড়ানো হবে এ সিসি ক্যামেরা।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসিম বলেন, এক শিক্ষক ভুল করে অটো গাড়িতে টাকা ফেলে গিয়ে পুলিশকে অবহিত করলে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সেই টাকা উদ্ধার করে ওই শিক্ষকের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
সিক্সলেন সড়ক থেকে শুরু করে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু পর্যন্ত এ সিসি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে।
এছাড়া পৌর শহরের বিভিন্ন পায়েন্টে সিসি ক্যামেরার স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে আপরাধীদের চিহ্নিত করা যাবে বলে তিনি জানান।
পটুয়াখালি, বিভাগের খবর