বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৭:২৭ অপরাহ্ণ, ০৬ জুন ২০১৬
কলাপাড়া: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কাঠালপাড়া স্লুইসগেটের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের হামলা ও সশস্ত্র মহড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে চারজন আহত হয়েছে। লাঞ্ছিত হয়েছেন চাকামইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির কেরামত।
সোমবার দুপুরের দিকে পৌরশহরে এনিয়ে একাধিক সংঘাত হয়েছে। আহতদের মধ্যে পৌর মেয়র পুত্র বিকাশ হাওলাদারসহ তার সহযোগী আবুল কাশেম, মিন্টু মল্লিককে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, চাকামইয়া ইউনিয়নের কাঠালপাড়ার স্লুইগেট নিয়ে কলাপাড়া পৌর কাউন্সিলার জাকি হোসেন জুকু এবং চাকামইয়া ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের সাথে বিরোধ চলে আসছিল।
এনিয়ে সোমবার দুপুরে কলাপাড়া পৌর শহরস্থ অস্থায়ী চাকামইয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বৈঠক চলছিল। এ সময় কথা কাটা কাটি হয়। এর পরই ঘটনাক্রমে শুরুহয় শসস্ত্র মহড়া এবং হামলার ঘটনা।’
এতে পৌর মেয়রের ছেলে বিকাশ হাওলাদার (২৮), মিন্টু মল্লিক (২৪), কাশেম (৩০), গিয়াস মাতুব্বর (৪৫) আহত হয়।
চাকামইয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির কেরামত, উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাঠালপাড়া স্লুইজগেট ইউনিয়ন পরিষদের তত্তাবধনে নিয়ে কাঠালপাড়া গ্রামের মেম্বর মো. রফিককে সভাপতি করে স্লুইগেট রক্ষণা বেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এরপরই সোমবার দুপুরের দিকে জুকু তার দলবল নিয়ে আমার কার্যালয়ে এসে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। তারা মেয়রের ভাই স্বপন হাওলাদারকে লাঞ্ছিত করে। এরপর শসস্ত্র মহড়া এবং হামলার বিষয় কিছু যানি না।’
কলাপাড়া পৌর কাউন্সিলর জাকি হোসেন জুকু বরিশালটাইমসকে বলেন, চেয়ারম্যানের সঙ্গে কাঠালপাড়া স্লুইসগেট নিয়ে আলোচনা চলছিল, এসময় আমার মৃত বাবাকে নিয়ে অশ্লীল গালিগালাজ করার একপর্যায় বাকবিতন্ডা শুরু হয়।
সে সময় চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে আমার ওপর হামলা করে। এরপর আমি এতিমখানা এলাকায় যাওয়ার পথে স্বপন হাওলাদারের সঙ্গে তর্ক হয়।
কিন্ত তিনি প্রচার চালান যে, তাকে মারধর করা হয়েছে। এরপরই মেয়র বিপুল হাওলাদারের পুত্র বিকাশ হাওলাদার একটি শর্টগান নিয়ে পৌর কার্যালয়ের সামনে এসে আমাকে শর্টগান দিয়ে গুলি করছিল।
এসময় একজন রিকশা চালক এসে অস্ত্রটি ধরে ফেললে রক্ষা পাই। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শর্টগানটি উদ্ধার করে।
জুকু এও বলেন, স্লুইস গেট কমিটি বাতিল না করে চেয়ারম্যান তাদের ধরা মাছ লুট করে নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছে।’
কলাপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শাহনেওয়াজ জানান- পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখনো মামলা হয়নি।