পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় এক কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে আরবী প্রাইভেট শিক্ষক মাওলানা ফরিদ মাহামুদকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা দায়ের করলে রাতেই থানা পুলিশ ধর্ষক ফরিদকে গ্রেফতার করে।
ধর্ষক ফরিদ উপজেলার বাবুরহাট গ্রামের আব্দুল হকের পুত্র।
পুলিশ জানিয়েছে- উপজেলার পশ্চিম সেনের টিকিকাটা গ্রামের ওই কলেজছাত্রীর বাড়িতে কামিল শিক্ষার্থীকে মাওলানা ফরিদ আরবী পড়ান। দীর্ঘদিন পড়ানোর এক পর্যায় তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ফরিদ কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এবং শিক্ষক ফরিদ ওই ছাত্রীকে খুলনায় নিয়ে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করেন।
বিয়ের দুই মাস পরে কলেজছাত্রীকে না জানিয়ে ফরিদ আরও একটি বিয়ে করেন। এবং স্ত্রী হিসেবে ওই ছাত্রীকে অস্বীকার করেন।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি তদন্ত মাজহারুল আমীন বরিশালটাইমসকে জানিয়েছেন- কলেজছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মঙ্গলবার দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে গ্রেপ্তার ফরিদকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।’
শিরোনামপিরোজপুর