শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের কুড়িপাইকা গ্রামে আসামির শ্বশুর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান বরিশালটাইমসকে জানান, আসামি মিরাজ ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন। তিনি দীর্ঘ দিন রাজধানীর নবীনগর এলাকায় এক আত্মীয়ের কাছে ছিলেন।
মিরাজের স্ত্রী অন্তঃসত্বা হওয়ার খবর পেয়ে শনিবার সকালে সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের কুড়িপাইকা গ্রামের তার শ্বশুর বাড়িতে আসেন।
সেখান থেকে মিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মিরাজ টাউন জৈনকাঠি এলাকার কসাই মাসুদ হাওলাদারের ছেলে।
তবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগ সদস্য জিএম জহির রায়হান, শহর ছাত্রলীগ সাইমুন ইসলাম বাপ্পী, আল আমীন ওরফে কসাই আল আমীন, অভি এবং মিজানুর রহমান এখনো পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ জানায়- আসামি মিরাজকে রোববার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া হয়।
এর আগে গত ১২ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ১০টার দিকে নিউ মার্কেট চত্বরে প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করা হয় কলেজছাত্র মাহবুবকে। পরে নিহতের পিতা নামধারি ৬ জনসহ অজ্ঞাত ৮ থেকে ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই ছাত্রলীগ কর্মীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে বলে- স্থানীয় সাংবাদিক বিলাস দাসকে দুই দফা প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
পরে ওই সাংবাদিক থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডি নম্বর-৬১৫/১৭।
আসামি গ্রেপ্তারের দাবিতে মাহবুবের সহপাঠীরা পটুয়াখালীতে একাধিকবার আন্দোলনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন। প্রায় সাড়ে তিন মাস পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মিরাজ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়।
এর আগে পুলিশ আসামি ধরতে কয়েক দফা অভিযান চালিয়েছিল।”
শিরোনামপটুয়াখালি
