হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর যুবদল নেতা ইউনুছ আলীকে (৩৫) পরিকল্পিতভাবে পুলিশ গুলি করে হত্যার অভিযোগে ৭ পুলিশ সদস্যের নামে মামলা করা হয়েছে।
জেলা জজ আদালতে নিহতের স্ত্রী কাজী শাহেনা আক্তার বাদী হয়ে ৪ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৭ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে মঙ্গলবার দুপুরে মামলাটি করেন। মামলায় আরও ৫ থেকে ৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী নিহতের স্ত্রী দাবি করেন- তার স্বামী ইউনুছ আলীর বিরুদ্ধে মামলা থাকায় গত বছরের ১ আগস্ট রাতে পুলিশ তাদের বাড়িতে যায়। বাড়িতে তল্লাশির নামে শাহেনা আক্তারের শ্লীলতাহানি করে পুলিশ।
ওই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে তিনি মামলা করেন। এর জের ধরেই গত ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টায় শাহেনা আক্তারের স্বামী ইউনুছ আলীকে ডেকে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তাকে নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করে পুলিশ।
এ মামলায় চুনারুঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান, এএসআই দেলোয়ার হোসেন, এএসআই সাজিদ মিয়া, কনস্টেবল মনিন্দ্র চাকমা, কনস্টেবল আব্দুল হামিদ, ড্রাইভার কনস্টেবল নূরুজ্জামান ও এসআই ওমর ফারুককে আসামি করা হয়েছে।’
মামলার বাদী কাজী শাহেনা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ তার স্বামীকে ধরে নিয়ে হত্যা করেছে। এর বিচারের দাবিতে তিনি আদালতে মামলা করেছেন।
মামলার আইনজীবী মো. সিরাজ আলী মীর সাংবাদিকদের জানান, সাবেক কাউন্সিলর ইউনুছ আলী হত্যার ঘটনায় নিরাপত্তা হেফাজতে মৃত্যু ও নিবারণ আইনে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করা হয়েছে।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। আশাকরি, বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে মামলার সুষ্ঠু বিচার হবে এবং ইউনুছ আলীর খুনিরা বিচারের মুখোমুখি হবে।’
জাতীয় খবর