বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাংবাদিক এসএম জাকির হোসেন জনকল্যাণে কতটুকু ভুমিকা রেখেছেন তা কান পাতলেই শোনা যায়। সিটি কর্পোরেশন বা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে সর্বত্রই সর্বদা তিনি আলোচনায় থাকেন। এমনকি সমালোচকরাও তাকে নিয়ে প্রায়ই তর্কে-বিতর্কে জোড়েন।
কিন্তু এসএম জাকির কোন ধরনের সমালোচনাকে গায়ে না মাখিয়ে হাটেন আপন গতিতে। কর্মগুণের মাধ্যমে বরাবরই সমলোচকদের কড়া জবাব দিতে তিনি ভালবাসেন। যেই বিষয়টি দেখিয়েছেন ক্ষমতার গত ৫ বছরে আওয়ামী লীগ নেতা জাকির।
ওয়ার্ডে ধারাবাহিক উন্নয়নমূলক কাজ করে সমালোচকদের কঠিন প্রশ্নে মুখোমুখি করেছেন তিনি। আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেই সেই নিন্দুকেরা এখন চুপসে গেছেন। তবে গোপনে গোপনে ষড়যন্ত্র করার একটি আভাস পাওয়া গেছে। কিন্তু বর্তমান কাউন্সিলর জাকিরের জনপ্রিতার কাছে সেই ষড়যন্ত্র ধোপে টিকবে কী না তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।
এক্ষেত্রে ওয়ার্ডের সচেতন বাসিন্দাদের অভিমত হচ্ছে- একটি আধুনিক ওয়ার্ডকরণে একজন কাউন্সিলর কতটা আন্তরিক হতে পারেন সেই প্রমাণ জাকির হোসেন দেখিয়েছেন। অক্লান্ত প্ররিশ্রম করে অগোছালো ওয়ার্ডটিতে সুশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করেছেন। ২৪ ঘণ্টা ওয়ার্ডবাসীর পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। যে কারণে এবারের নির্বাচনে তার বাইরে ভাবার সুযোগ নেই। সুতরাং এসএম জাকিরকে ঘিরেই তুষ্ট থাকতে চাইছেন ভোটাররা।
খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে- ২০১৩ সালে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জিয়াউল হক বিপ্লবকে ৬৬৪ ভোটে জয়লাভ করেন সাংবাদিক এসএম জাকির। অথচ ওই নির্বাচনে আ’লীগের প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন তৎকালীন মেয়র শওকত হোসেন হিরনের অনুসারী কামাল সরদার ওরফে ফাঁসি কামাল। কিন্তু কামাল তার কাছে ধোপে টেকেনি। বরং অপর প্রার্থী বিপ্লবের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৫৭৫ ভোট পেয়েছিলেন এই নেতা।
এবার এসএম জাকিরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাঠে কামাল না থাকলেও রয়েছেন জিয়াউল হক বিপ্লব ও সাইদুর রহমান সগীর নামে একজন নতুন প্রার্থী। কিন্তু এসব প্রার্থীরাও শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকিরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টেকা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বৌদ্যপাড়া এলাকার তরুণ ভোটার রফিকুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে জানিয়েছেন- এসএম জাকির হোসেন পুরো এলাকার চিত্রপট পাল্টিয়ে দিয়েছেন। ওয়ার্ডের প্রতিটি এলাকায় নতুন সড়ক ও ড্রেন নির্মাণের পাশাপাশি পুরাতন সড়কগুলো সংস্কার করে নতুনত্ব এনেছেন। ওয়ার্ডের প্রতিটি রোডে আধুনিক বাতি (এলইডি) জ্বালিয়ে দেখিয়েছেন চমক। পাশাপাশি ওয়ার্ডের কলেজ এভিনিউ রোড ও বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে কাউন্সিলর জাকির নিজস্ব অর্থায়নে ফ্রি-ওয়াই ফাই সুবিধা দিয়ে আরও শোরগোল ফেলে দিয়েছেন।
এছাড়াও মাদক সন্ত্রাস অপরাধ রোধে কঠোর ভুমিকা রেখেছেন তিনি। সেই বিষয়টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ মানুষের মুখেই শোনা যাচ্ছে। যে কারণে আপাতত এই কাউন্সিলরেই ভরসা পাচ্ছে ওয়ার্ডবাসী।
অবশ্য জাকির হোসেনও জানিয়েছেন ভোটার অর্থাৎ ওয়ার্ডবাসীর পাশে থাকতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি। তার মতে- নিন্দুকেরা অনেক কথাই বলে, কিন্তু তাদের সেই সমালোচনার জবাব প্রতিটি কাজের মাধ্যমে দিয়েছেন। এবং আগামী দিনগুলোতেও দিবেন।
যে কারণে ওয়ার্ডের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের ধারাবাকিতা ভোটারদের পাশে থেকে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেছেন এস এম জাকির হোসেন।’’
নির্বাচন এক্সপ্রেস, বরিশালের খবর