৪ ঘণ্টা আগের আপডেট সকাল ৫:১৬ ; সোমবার ; জুন ৫, ২০২৩
EN Download App
Youtube google+ twitter facebook
×

কাকঁড়া শিকার করে ৪০০ পরিবারের জীবিকা নির্বাহ

বরিশালটাইমস রিপোর্ট
৩:২৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০১৮

‘মোগো কোন জায়গা জমি নাই, কাড়হা শিহার করইয়্যা খাই’, কথাগুলো বলছিলেন কাঁকড়া শিকারী আবদুল রাজ্জাক। শুধু রাজ্জাকই নন, বরগুনার তালতলী উপজেলার ট্যাংরাগিরি বনাঞ্চলে কাকঁড়া শিকার করে সংসার চলে চার শতাধিক জেলে পরিবারের। প্রতিদিন তারা বনের গভীরে ঢুকে কাকঁড়া শিকার করেন। তাদের মূল পেশাই কাকঁড়া শিকার করা।

এমনই আরেক কাঁকড়া শিকারী মো. শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মোগো আর কোন কাম নাই, কাড়হা ধইর‌্যা সোংসার চালাই। প্রতিদিন কাড়হা ধরলে পাচ থেকে ছ’শ টাহা পাই।’

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, তালতলী উপজেলার ট্যাংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের আয়তন নয় হাজার ৯৭৫ একর। এ বনের মধ্যে নয়টি খাল রয়েছে। খালগুলো হলো-বান্দ্রা খাল, মেরজে আলীর খাল, সিলভারতলীর খাল,ফেচুয়ার খাল, গৌয়মতলার খাল, কেন্দুয়ার খাল,সুদিরের খাল, বগীর দোন খাল ও চরের খাল। বর্ষার মৌসুমে এ বনাঞ্চলে পানিতে প্লাবিত হয়ে যায়। এ খাল গুলোর মধ্যে জোয়ার ভাটার পানি প্রবাহমান। এ খালের বিভিন্ন স্থানে কাঁকড়া গর্ত তৈরি করে বসবাস করে। কাকঁড়া শিকারীরা বনের গভীরে ঢুকে খালের ওই কাঁকড়ার গর্তে লোহার রড দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে শিকার করে।

এ বনে চার শতাধিক কাঁকড়া শিকারী রয়েছে। তালতলী, কলাপাড়া ও বরগুনার বিভিন্ন এলাকা থেকে এ শিকারীরা এসে কাকঁড়া শিকার করে। কাকঁড়া শিকার করে তারা প্রতিদিন পাঁচশ থেকে এক হাজার টাকা আয় করে। এ দিয়েই চলে তাদের সংসার। প্রকার ভেদে এ সকল কাকঁড়া তারা ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে আড়ৎদারের কাছে বিক্রি করে। আড়ৎদাররা এ কাঁকড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি করে থাকে।

কাকঁড়া শিকারী নিজামুর রহমান ও মো. জলিল হাওলাদার জানান, কাকঁড়া শিকার করে দৈনিক পাঁচ থেকে ৬০০ টাকা আয় হয়। এ দিয়েই চলে সংসার। গহীন জঙ্গলের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঁকড়া শিকার করতে হচ্ছে। জঙ্গলে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ ও বন্যপ্রাণী রয়েছে। সেগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করে কাকঁড়া শিকার করতে হয়।

সোহেল নামের আরেক শিকারী জানান,কাকঁড়া শিকার করতে বন কর্তৃপক্ষকে জনপ্রতি এক হাজার টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে কাকঁড়া শিকার করতে দেওয়া হয় না।

ফকির হাট মৎস্য সমিতির সহসভাপতি মো. আবদুস সালাম হাওলাদার জানান, তারা কাঁকড়া শিকার করে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। কাঁকড়া শিকারীরা গহীন অরণ্যে কাকড়া শিকার করায় বনদস্যুদের হাত থেকে গাছপালা রক্ষা পাচ্ছে।

তালতলী সকিনা এলাকার বিট কর্মকর্তা মো. জাহিদ প্রামাণিক বলেন, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি দুমাস প্রজনন মৌসুম এ সময়ে কাকঁড়া ধরা নিষিদ্ধ। এ ছাড়া বাকি সময়ে তারা কাঁকড়া শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।

বরগুনা

আপনার ত লিখুন :

 
ভারপ্রাপ্ত-সম্পাদকঃ শাকিব বিপ্লব
© কপিরাইট বরিশালটাইমস ২০১২-২০১৮ | বরিশালটাইমস.কম
বরিশালটাইমস মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
ইসরাফিল ভিলা (তৃতীয় তলা), ফলপট্টি রোড, বরিশাল ৮২০০।
ফোন: +৮৮০২৪৭৮৮৩০৫৪৫, মোবাইল: ০১৮৭৬৮৩৪৭৫৪
ই-মেইল: barishaltimes@gmail.com, bslhasib@gmail.com
© কপিরাইট বরিশালটাইমস ২০১২-২০১৮
টপ
  শারমিন আক্তার শিলাকে বিজয়ী করতে এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ  নেছারাবাদে ক্লিনিকে গর্ভবতীর মৃত্যু: চিকিৎসকসহ গ্রেপ্তার ৪  বিয়ের আশ্বাসে তরুণীকে ধর্ষণ করলেন পুলিশ কর্মকর্তা  জমি নিয়ে বিরোধ: ২ তরুণীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ  কলাপাড়ায় ছাদ থেকে পড়ে নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু  বরিশাল-ভোলা সেতু চাইলেন তোফায়েল  লালমোহনে ১৪ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই  ১২ জুন টেবিল ঘড়ির পক্ষে নীরব ভোট বিপ্লব হবে: মেয়র প্রার্থী রূপন  কলাপাড়ায় বিয়ে বাড়িতে হামলা আহত ২  গরমে এবার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাথমিকের ক্লাস বন্ধ