ঝালকাঠির কাঠালিয়া একটি কুলখালী অনুষ্ঠানের ভিডিও করাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদকসহ যুব ও ছাত্রদলের অনন্ত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র (আমুয়া) ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (০৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার আমুয়া পূর্বপাড়া হাসপাতাল এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন কবির বরিশালটাইমসকে জানান, শনিবার দুপুরে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আখতার হোসেন মিরবহরের আমুয়া নিজ বাড়িতে তার পিতার কুলখালী অনুষ্ঠান ছিল।
ওই অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন। ফয়সাল নামের ছাত্রদলের এক কর্মী নেতা শাহজাহান ওমরের ছবি মোবাইলে ভিডিও করলে উপজেলা শ্রমিকদলের বহিস্কৃত সভাপতির নাসির উদ্দিন মুন্সির ছিলে ছাত্রদল কর্মী মারজু মুন্সী এ মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে।
এ নিয়ে কবির হাওলাদার ও নাসির উদ্দিন মুন্সির গ্রুপের যুব ও ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলা কারীরা রাস্তায় রাখা তার একটি প্রাইভেট গাড়ি ভাঙচুর চালায়।
এ হামলায় উপজেলা নাসির মুন্সির দুই পুত্র মারজু মুন্সি (২৫), মুঈন মুন্সি (২০) এবং কবির হাওলাদার গ্রুপের উপজেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন (২৭), ড্রাইভার মো. এনায়েত হোসেন (৩৪) এবং যুব ও ছাত্রদলের কর্মী মো. সফিকুল ইসলাম সোহেল (২৫), হেলাল (২৩), জিয়া ইসলাম (৩০) ফারুক হোসেন (৩৫) ও নজরুল ইসলাম মুন্সি আহত হন।
এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন কবির বাদী হয়ে ছাত্রদল কর্মী মারজু মুন্সিকে প্রধান আসামি করে ১০জনের নাম উল্লেখ করে ২২জনের বিরুদ্ধে কাঠালিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
কাঠালিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এমআর শওকত আনোয়র ইসলাম জানান, বিএনপির হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
শিরোনামঝালকাঠির খবর