কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়ে কাবিনামা দেখাতে না পারায় ট্যুরিস্ট পুলিশের হাতে আবারও নাজেহাল হয়েছেন এক দম্পতি। বিয়ের কোন উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে না পারায় ওই দম্পতিকে দীর্ঘক্ষণ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আটকিয়ে রাখায় ট্যুরিস্ট পুলিশের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী।
সোমবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে ভুক্তভোগী মো. কায়দে আজম লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানান।
তিনি বলেন, “সৈকতে বেড়াতে গিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের এক এএসআইয়ের কাছে এক দম্পতি নাজেহাল হওয়ার ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি বরাবর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
অভিযোগকারি মো. কায়দে আজম বলেন, রোববার রাত ৮টার দিকে স্ত্রীসহ সৈকতের লাবণী পয়েন্টে পর্যটক চেয়ারে বসেছিলেন। এ সময় এএসআই মো. মাসুদসহ তিন পুলিশ সদস্য এসে পরিচয় জানতে চান। স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিলে তাৎক্ষণিক কাবিননামা দেখতে চান।
“আমরা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দেয়ার পরও মিথ্যা বলছি জানিয়ে ধমকাতে থাকেন এবং একপর্যায়ে বাড়ি থেকে স্বজনদের এনে পরিচয় নিশ্চিত করতে বলেন; অন্যথায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার হুমকি দেন।”
এসময় সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যাওয়া অন্য পর্যটকদের সামনে স্বামী-স্ত্রীকে প্রকাশ্যে নাজেহাল করেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কায়দে আজম।
কায়েদে আজম আরও বলেন, ‘পর্যটন নগরীর প্রধান আকর্ষণ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের কাছে যদি বেড়াতে আসা লোকজন হেনস্তার শিকার হন, তাহলে পর্যটকরা কক্সবাজার বিমুখ হবেন। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পে।’
এ নিয়ে অভিযুক্ত ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
অভিযোগের ব্যাপারে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, এ ধরণের অভিযোগের ব্যাপারে আমি অবগত নই। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর বিজ্ঞপ্তি, জাতীয় খবর