কুপিয়ে পা বিচ্ছিন্ন: মূল হোতা গ্রেফতারের ঘটনায় পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন
মজিবর রহমান, মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে পা বিচ্ছিন্নকরন সহ উপর্যুপরি কুপিয়ে পেটের ভুড়ি বের করার ঘটনায় তদন্তে প্রাপ্ত মূল আসামী ইয়াসিন খানকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত সোমবার (১০ অক্টোবর)ভোর রাতে ঢাকার লালবাগ এলাকা থেকে ইয়াসিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার কাছ থেকে দুটি দেশীয় অস্ত্র ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ইয়াসিন তুষখালী ইউনিয়নের তুষখালী গ্রামের মৃত হাফেজ খানের ছেলে।
বুধবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে মঠবাড়িয়া থানায় সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছেন পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান,পিপিএম-সেবা । পুলিশ সুপার জানান, গত ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে উপজেলার তুষখালী থেকে একটি মামলায় হাজিরা দিতে মঠবাড়িয়া যাচ্ছিলেন ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম।
এ সময় আসামীরা উত্তর মিঠাখালী ফরাজী বাড়ির সম্মুখ সড়কে শফিকুল ইসলামকে কুপিয়ে পা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এ ঘটনার মূল নায়ক গ্রেপ্তারকৃত ইয়াসিন খান। ঘটনার দিন রাতে আহত শফিকুলের মা মমতাজ বেগম বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা করেন।
ঘটনার পরপরই প্রধান পরিকল্পনাকারী আসামী নাসিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ১০ অক্টোবর ঢাকার লালবাগ এলাকা থেকে ইয়াসিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার কাছ থেকে দুটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয় । তাকে বুধবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া সার্কেল) মোহাম্মদ ইব্রাহীম, মঠবাড়িয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহা. নুরুল ইসলাম বাদল, পিরোজপুর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) দক্ষিণ বিভাগের ওসি আসলাম উদ্দিন সহ থানার অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, তুষখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাজাহান হাওলাদারের ছোট ভাই নাসির হলাদার বন্দরের একটি দোকানঘর বিক্রি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে তুষখালী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে মটর সাইকেল যোগে মঠবাড়িয়া যাওয়ার পথে মঠবাড়িয়া পাথরঘাটার – চরখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের ঊওর মিঠাখালী ফরাজী বাড়ীর সম্মুখে ফেলে ১০/১২ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী ধারালো অস্ত্রদিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে পা বিচ্ছিন্ন ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে পেটের ভুড়ি বের করে ফেলে রেখে যায়।
পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মঠবাড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল এবং সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। জাতীয় পার্টি সভাপতি জি এম কাদের ঢাকা মেডিক্যালে তাকে দেখতে যান।
পিরোজপুর, বিভাগের খবর