১২ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

কুয়াকাটায় ছোট ভাইয়ের কব্জি বিচ্ছিন্ন করলো বড় ভাই

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:২৮ অপরাহ্ণ, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ছোট ভাই আবু মুন্সি (২৮) নামের এক যুবকের হাতের কব্জি কেটে বিচ্ছিন্ন করেছে বড় ভাই বশির মুন্সী।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে কুয়াকাটা সংলগ্ন লতাচাপলী ইউনিয়নের আজিমপুর গ্রামে নূর আলী মুন্সির বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে তিন ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। পারিবারিকভাবে জমিজমা ভাগ বন্টন করে দিলেও ছোট ছেলে আবু মুন্সি তা মানছেন না।

আবু মুন্সি ছোট বেলা থেকেই বেপরোয়া স্বভাবের। তাঁর ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটে এলাকার মানুষের। বৃদ্ধ মা-বাবা, ভাই-বোন কেউই রেহাই পায়নি আবুর নির্যাতনের থেকে।

প্রত্যক্ষদর্শী সেলিম মাল জানায়, গত শনিবার আবু মুন্সি তার আপন বড় দুই ভাই নাসির মুন্সি (৪৫), বশির মুন্সি (৪০) কে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন‌। তারা বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এরপরও আবু মুন্সি বড় দুই ভাইয়ের ছেলে মেয়েদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ কুপিয়ে জখম করার হুমকি দিয়ে আসছে। মঙ্গলবার সকালে দুই ভাইয়ের বসত ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় হুমকি অব্যাহত রেখেছেন।

আজ বুধবার সকালে আমরা এলাকার মানুষ আবু মুন্সিসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করি। তার একটু পর আবু মুন্সি ডংকুপাড়া বটতলা বাজারে গেলে বড় ভাই নাসির মুন্সির শ্যালকরা বেপরোয়া আবু মুন্সিকে রশি দিয়া গাছের সাথে বেঁধে রাখেন। খবর পেয়ে স্থানীয়রা জড়ো হয় এবং মেঝো ভাই বশির মুন্সী ছুটে এসে মারধরের চেষ্টা চালায়। পরে স্থানীয়রা

আবু মুন্সিকে উদ্ধার করে তার বাবা নূর আলী মুন্সীর হাতে সোপের্দ করা হলে সে বাড়ীতে নিয়ে আসেন। এর কিছুক্ষণ পর সুনতে পাই আবু মুন্সির হাতের কব্দি কেটেছে। এর পর দ্রুত স্থানীয়রা উদ্ধার করে তুলাতলী ২০ শয্যা হাসপালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশালে পাঠিয়ে দেয়।

আবু মুন্সির বৃদ্ধা মা জোলেখা বিবি কান্না কণ্ঠে বলেন, আমার তিন ছেলে নাসির মুন্সি (৪৫), বশির মুন্সি (৪০), আবু মুন্সি ( ২৮) তিন জনই আজ হাসপাতালে।

এই বৃদ্ধ বয়সে আমরা একটু শান্তিতে থাকতে পারলাম না। আমার ছোট ছেলে কাউকে মানে না ও কারো কথা শোনে না। আমার থাকার ঘর মেয়েরা তৈরি করে দিয়েছে সেই ঘরও ভেঙে ফেলতে চায় ছোট ছেলে আবু। কিছুই বলার নাই।

এ বিষয়ে মহিপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ নোমান হোসেন জানায়, প্রাথমিকভাবে হুকুমদাতা হিসেবে আবু মুন্সির বাবা নুর আলী মুন্সিকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে বিচ্ছিন্ন কব্জি এখনো উদ্ধার করা যায়নি।

257 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন