বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১২:৩০ অপরাহ্ণ, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
কুয়াকাটা প্রতিনিধি।। গৌতমবুদ্ধ বুদ্ধত্ব লাভের পর আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস পালন শেষেপটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা পালন করছেন তাদের ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্নিমা।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৭ টায় পঞ্চশীল ও অষ্টশীল প্রার্থনা এবং বুদ্ধপূজার মধ্যে দিয়ে দিনটির সূচনা করেন তারা। পরে বুদ্ধের স্মরণে বিভিন্ন ফল ও হরেক রকমের পিঠাপুলি বৌদ্ধ ভিক্ষুকে প্রদান করেন বৌদ্ধ ধর্মের বয়স্ক নারী পুরুষরা।
উৎসবটি ঘিরে রাখাইন পাড়ায় বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। ঘরে ঘরে তৈরি করা হচ্ছে নিজস্ব সংস্কৃতিতে নানান পিঠাপুলি আর হরেক রকমের খাবার।
দেশের নানা প্রান্ত থেকে বৌদ্ধ ধর্মের লোকেরা জমায়েত হয়েছে বৌদ্ধ বিহারে এ উৎসবকে পালন করার জন্য। পাড়ায় পাড়ায় নানা বয়সের রাখাইন নারী পুরুষরা নতুন পোশাক পরিধান করে বৌদ্ধ বিহারে অংশ গ্রহণ করেছে।
কুয়াকাটার শ্রী মঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের উপাধাক্ষ্য ইন্দ্র বংশ ভান্তে বলেন, প্রবারণা উৎসবকে ঘিরে আমরা ২৮ বুদ্ধের আসন পরিস্কার ও নতুন সাজে রুপ দিয়েছি।
সন্ধ্যায় শতাধিক ফানুস উড়িয়ে ধর্মীয় আচারের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এবারের প্রবারনা উৎসব। আজ ১৬ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত কঠিন চীবরদান চলবে।
মিশ্রীপাড়া সিমা বৌদ্ধ বিহারের সভাপতি মংলাচি তালুকদার তালুকদার বলেন, এটা আমাদের প্রধান উৎসবের মধ্যে অন্যতম উৎসব। এ উৎসবকে ঘিরে নানা বয়সি মানুষের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। জগতের সবার মঙ্গল কামনা করছি। আজ আলোর ঝলকানিতে ফানুস উড়ানো হবে।
কুয়াকাটার মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ বিহারের উত্তম ভিক্ষু বলেন, আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে গৌতমবুদ্ধ বুদ্ধত্ব লাভের পর আষাঢ়ী পূর্নিমা থেকে আশ্বিনী তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস পালন করে প্রবারণা উৎসব পালন করে আসছে।
আজকের এ উৎসবে চাওয়া হল জাগতিক সবাই ভালো থাকুক। কারো অমঙ্গল না হোক। তিনি আরো বলেন, আমাদের সামাজিক অবস্থা অবনতি হচ্ছে। দিনে দিনে আমরা কোনঠাসা হয়ে পড়ছি। এখান থেকে মুক্তি চাই।