বরিশালটাইমস, ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:০৫ অপরাহ্ণ, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
কুয়াকাটায় রাখাইন জাদুঘর
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ।। পর্যটকদের জন্য নতুন আকর্ষণ রাখাইন জাদুঘর। এটি কুয়াকাটা সৈকত থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে মিশ্রিপাড়া নামক গ্রামে দুই শতাংশ জমির উপর নির্মাণ হয়েছে। এখানে রাখাইন সস্প্রদায়ের ব্যবহারের হাজার বছর পুরানো তৈজসপত্রসহ নানান শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে। প্রথম ধাপে, রাখাইনদের ব্যবহারের ২০ ধরনের উপকরণ রাখা হয়েছে।
এরমধ্যে রয়েছে রাখাইন ভাষায় তালপাতায় লেখা পুঁথি, সেগুন কাঠের বাক্সসহ বিভিন্ন ধরনের পাত্র। পশুর হাড় দিয়ে তৈরি অস্ত্র, পিতলের ঘণ্টা, হরিণের চামড়াসহ নানান জিনিস। এসব উপকরণ স্থানীয় প্রবীন রাখানইনদের বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া জাদুঘরের দেয়ালে অঙ্কন করা হয়েছে রাখাইনদের প্রথম রাজা চন্দ্রসূর্য ও শেষ রাজা মহাথামান্দার ছবিও।
যা দেখতে ভিড় করছেন পর্যটকরা। জানা গেছে, ২০২৩ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর এ জাদুঘরটি উদ্বোধন করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন। এর মাধ্যমে আগত পর্যটকরা বৌদ্ধবিহার প্রদর্শনের পাশাপাশি রাখাইন জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্য-ইতিহাস সম্পর্কে জানার সুযোগ পাচ্ছে।
ক্রমশই বিভিন্ন উপকরন সংগ্রহ করে এ জাদুঘরের সংগ্রহশালা সমৃদ্ধ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয় বাসিন্দা মো.আমির হোসেন বলেন, কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা জানতে চায় আদিবাসীদের সেকালের জীবনযাত্রা। এ জনপদ কিভাবে হয়েছে বাসযোগ্য। এসব দেখার জন্য, জানার জন্য ঘুরে বেড়ায় রাখাইন পল্লীতে।
এখন এই জাদুঘরের মাধ্যমেই জানতে পারবেন তারা। পর্যটক শাকিল খান বলেন, রাখাইন জাদুঘরটি অসাধারন। এর পাশে রয়েছে প্রাচীন কুয়া ও ঐতিহ্যবাহী মিশ্রিপাড়া সীমা বৌদ্ধ মন্দির অবস্থিত। এ জাদুঘরটিতে রাখাইনদের ব্যবহৃত পুরনো হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। পাশাপাশি দেয়ালে অঙ্কন করা হয়েছে রাখাইন রাজ্য থেকে প্রথম পর্যায়ে ৫০টি পরিবার কীভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে উপকূলীয় এলাকায় পৌঁছেছেন এমন দৃশ্য।
মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দিরের পুরোহিত উত্তম ভিক্ষু বলেন, আমরা আসা করছি সামনে আরও পর্যটক জাদুঘরে আসতে উৎসাহী হবে। জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা রাখাইন মং লাচিং জানান, রাখাইনদের সংস্কৃতির সাথে অন্যদের পরিচয় করিয়ে দিতেই এ উদ্যোগ। তবে এই জাদুঘর পর্যায়ক্রমে সমৃদ্ধ হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, কুয়াকাটায় যারা বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছেন-তারা সহজেই এ জাদুঘর ঘুরে সম্প্রদায়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে।