বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১১:২৯ অপরাহ্ণ, ২২ আগস্ট ২০১৭
যাত্রী চাপ সামলাতে আসন্ন ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে সরাসরি ৩০ জাহাজ চলাচল করবে। সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানা এসব নৌ-যান ঢাকা-বরিশালের নৌ-বহরে যুক্ত হবে ঈদের স্পেশাল সার্ভিসের প্রথম দিন। এরমধ্যে প্রথমবারের মতো বহরে রাত্রীকালীন সার্ভিসে যুক্ত হচ্ছে অ্যাডভেঞ্চার-১ ও আধুনিকায়ন শেষে সুন্দরবন-১১।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা সরকার মিঠু সাংবাদিকদের জানান, বরিশাল-ঢাকা রুটে সরাসরি দিবা ও রাত্রীকালীন সার্ভিস মিলে ১৯টি লঞ্চ রয়েছে। তবে ঈদ স্পেশাল সার্ভিসে ২৪টি লঞ্চের ঢাকা-বরিশাল রুটে সরাসরি যাত্রীসেবা দেওয়ার কথা রয়েছে। তিনি বলেন, যাত্রীদের প্রয়োজনে আরও ২ থেকে ১টি লঞ্চ সংযোজন করা হতে পারে। আর যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে লঞ্চে ও টার্মিনালে সিসি-ক্যামেরার ব্যবস্থা রাখা হবে।
পাশাপাশি নৌ-পুলিশ, সাদা পোশাকধারী পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, আনসার, মেরিন ভলান্টিয়ার, স্কাউটের সদস্যরা বন্দর এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। যাত্রীদের নিরাপত্তা গেট দিয়ে টার্মিনালে প্রবেশ এবং বের হতে হবে। টার্মিনাল এলাকায় যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা করা হবে এবং টার্মিনালের সামনের সড়কে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে। তিনি বলেন, প্রতিবছরের মতো দুর্ঘটনা এড়াতে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলের রুটগুলোতে বাল্কহেড, কার্গো চলাচল নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
পাশাপাশি বন্দর এলাকায় যাত্রীদের সচেতনতায় প্রচার-প্রচারণাও চালানো হবে। আশা করি ঈদ-উল ফিতরের মতো কোরবানিতেও নিরাপদ যাত্রা হবে এ রুটের যাত্রীদের। বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, ঈদ সার্ভিসের লঞ্চগুলোর মধ্যে সুন্দরবন- ৮, ১০, ১১,১২, সুরভী- ৭, ৮, ৯, পারাবত- ২, ৯, ১০, ১১, ১২, এমভি টিপু-৭, এমভি ফারহান-৮, কীর্তনখোলা-১,২, দীপরাজ এবং কালাম খান-১, তাসরিফ-১,৪, অ্যাডভেঞ্চার-১, দেশান্তর ও গ্রিনলাইন- ২,৩ সহ ২৪টি লঞ্চ থাকবে। তবে ঝালকাঠি ও পিরোজপুরে থেকে ৪টি লঞ্চ ভায়া হিসেবে বরিশাল নদীবন্দর হয়ে চলাচল করলেও ঈদের সময় যাত্রীর চাপ থাকায় এগুলো বরিশাল নদী বন্দরে ঘাট দিতে দেওয়া হয় না বলে নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও পিরোজপুর থেকে ঢাকাগামী লঞ্চগুলো বরিশালের বানারীপাড়া, উজিরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে ঘাট দিয়ে চলাচল করবে।
পাশাপাশি বাবুগঞ্জ, মুলাদী, হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ থেকে ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলরত লঞ্চগুলোও স্পেশাল সার্ভিস দেবে। অপরদিকে ঈদ স্পেশাল সার্ভিসে ৩০ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারি জাহাজ সার্ভিসে ৬টি নৌযান বরিশাল-ঢাকা রুটে চলাচল করবে। যাত্রীর প্রয়োজনে এসব নৌযানের কোনো কোনোটি বরিশাল হয়ে হুলারহাট পর্যন্ত চলাচল করবে।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিসি’র সহকারী মহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, এমভি মধুমতি ও এমভি বাঙালি জাহাজের পাশাপাশি রকেট সার্ভিসে পিএস মাহসুদ, লেপচা, টার্ন ও অস্ট্রিচসহ ৬টি নৌ-যান ঈদ স্পেশাল সার্ভিসে যাত্রীসেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে বরিশালে কীর্তনখোলা ও টিপু লঞ্চ কোম্পানি সরাসরি টিকিট ছাড়লেও, স্লিপ নিয়ে টিকিট দিয়েছে সুরভী ও সুন্দরবন লঞ্চ কোম্পানি। এরইমধ্যে এসব লঞ্চের ঈদের ২ দিন আগে ও ২ দিন পরের টিকিট শেষ হয়ে গেছে। এখন টিকিট পাওয়া আর সোনার হরিণ পাওয়া সমান বলেই জানিয়েছে কাউন্টারগুলোর দায়িত্বরতরা।”