আর মাত্র একদিন বাকি। এরপর পুরো একটা দিনের চাপ সইতে হবে আপনাকে, কারণ কোরবানির ঈদ বলে কথা। সেই ভোর থেকে রাত অবধি ব্যাপক ব্যস্ত সময় কাটাতে হবে সবার। ঈদের দিনটি সুন্দর ভাবে কাটাতে হলে সময় ভাগ করে কাটাতে চেষ্টা করুন । এ জন্য কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি-
ঈদের আগের রাতে ফ্রেশ ঘুম: ঈদের দিন যেহেতু ঘুম থেকে ভোরে উঠতে হবে, তাই আগের রাতে একটু আগেই ঘুমিয়ে পড়া ভালো। এতে ঈদের দিনে শরীর ও মন থাকবে ফ্রেশ।
সব কিছু আনা হয়েছে তো: ঈদের নামাজের জন্য পাঞ্জাবি, পাজামা, চপ্পল সব আগেই হাতের নাগালে রাখুন। দা, ছুরি, কোরবানীর সব সরঞ্জাম অবশ্যই যেন ঘরে থাকে, তা নিশ্চিত করুন। ঈদের এক বা দুই দিন আগেই লিস্ট করে সব ঘরে আনা উচিত। গরু কাটার পর তা চাটাইয়ের উপর রাখা হয়, তাই চাটাই মনে করে আনুন। মাংস পরিচিতদের মাঝে বিলি করতে হলে ঘরে নতুন পলিথিন থাকা জরুরি।
হুজুর ও কসাই ঠিক আছে তো: কোরবানির জন্য অপরিহার্য হলেন হুজুর ও কসাই। পাশের মসজিদের হুজুর বা মুয়াজ্জিনকে অবশ্যই আগে বলে রাখুন আপনার গরু জবাই করার জন্য। কসাইও আগেই ঠিক রাখা চাই। তাদের পারিশ্রমিক ঠিক মতো পরিশোধ করুন। কসাই কয়েকজন রাখতে পারলেই ভালো।
যেখানে সেখানে জবাই নয়: আপনার কোরবানির গরু, ছাগল বা অন্য পশু যেখানে সেখানে জবাই করে পরিবেশ নষ্ট করবেন না। সম্ভব হলে খোলা মাঠে একটা গর্ত করে পশু জবাই করুন। রক্ত ঐ গর্তে গড়িয়ে গেলে তা মাটি চাপা দিন। জায়গা না থাকলে রাস্তায় বা গলিতে যদি জবাই করতেই হয় তাহলে দ্রুত পানি দিয়ে রক্ত ধুয়ে ফেলুন। পশুর নাড়িভুড়ি যেখানে সেখানে ফেলা খুবই অনুচিত।
চামড়া বিক্রি করুন বুঝে শুনে: যদি সম্ভব হয়, পশুর চামড়া কোনও এতিমখানায় দান করুন। তারা বিক্রি করে টাকা বুঝে নেবে। যদি খদ্দেরের কাছে বিক্রি করেন, তাহলে একটু বেশি দাম নিয়ে বিক্রি করে, সেই টাকা গরীরের মাঝে বিলি করে দিন।
দুপুরের মাঝেই কাজ শেষ করুন: যতোটা সম্ভব দ্রুত কোরবানির কাজ সেরে ফেলুন দুপুরের মধ্যেই। পরে বিকেল ও সন্ধ্যাটা বন্ধু বান্ধব, আত্মীয়দের জন্য বরাদ্দ রাখুন। রাতে ফিরে আসুন পরিবারের কাছে।
জাতীয় খবর