বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯
বার্তা পরিবেশক, অনলাইন::: রহস্যজনক কারণে বড়পুকুরিয়ার উৎপাদিত কয়লায় পানির আর্দ্রতা (ময়েশ্চার) পুনর্নির্ধারণের প্রস্তাব নাকচ হয়ে গেছে। এর ফলে সরকারের প্রত্যক্ষ ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৪০ কোটি টাকা; বিশ্লেষকদের ভাষায় যা সরাসরি দুর্নীতি।
চুক্তি অনুযায়ী প্রথম থেকে বড়পুকুরিয়া খনি কর্তৃপক্ষ চীনা ঠিকাদারের কাছ থেকে কয়লা কেনে ৫.১ শতাংশ (আর্দ্রতা) পানিসহ। কিন্তু এভাবে বেশি মাত্রায় আর্দ্রতা বা পানি কেনায় বড় ধরনের কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে।
শুধু তাই নয়, গত ১১ বছরে এ খাতে লোপাট হয় ৮৪৬ কোটি টাকা। চুক্তিতে পানির পরিমাণ ৫.১ শতাংশ সহনীয় থাকলেও বাস্তবে ১০ শতাংশ পানিসহ কয়লা কিনত বড়পুকুরিয়া।
এ কারণে বিশেষজ্ঞ কমিটি সবদিক যাচাই-বাছাই করে গ্রহণযোগ্য মাত্রা নির্ধারণ করে ২.৫৮ শতাংশ। যৌক্তিক হওয়ায় প্রস্তাবটি মানতে বাধ্য হয় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি (বিসিএমসিএল) এবং চীনা ঠিকাদার এক্সএমসি-সিএমসি কনসোর্টিয়াম।
অথচ এ সংক্রান্ত কার্যবিবরণীসহ সামগ্রিক প্রস্তাব জ্বালানি বিভাগে পাঠানোর পর মন্ত্রণালয়ের সচিব তা বাতিল করে দেন। মন্ত্রণালয় থেকে গত ২৬ জুন এরকম চিঠি পেয়ে সংশ্লিষ্ট সবাই হতবাক বনে যান। তারা সাংবাদিকতের জানান, চুক্তি অনুযায়ী আর্দ্রতা সংশোধনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও জ্বালানি বিভাগের এমন সিদ্ধান্ত সরকারের স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া ছাড়া আর কিছু নয়।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। রোববার তিনি সাংবাদিকদের জানান, যেহেতু চীনা ঠিকাদার আর্দ্রতার মাত্রা ২.৫৮ করতে রাজি ছিলেন সেহেতু প্রস্তাবটি নাকচ করা ঠিক হয়নি। তবে যেহেতু চুক্তি হয়ে গেছে এবং চুক্তির মেয়াদও বেশি দিন বাকি নেই, সেহেতু চুক্তি শেষ হওয়ার পর এটা করা যেতে পারে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, সে সময় কোনো ধরনের যুক্তিসঙ্গত তথ্যের ভিত্তিতে বড়পুকুরিয়ার আর্দ্রতার মাত্রা ৫.১ নির্ধারণ করা হয়নি। যেহেতু বর্তমান আর্দ্রতার মাত্রা ২.৫৮ একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে কেন তা বাস্তবায়ন করা হল না, সেটি অবশ্যই রহস্যজনক। তিনি মনে করেন, জ্বালানি বিভাগ বিষয়টি না বুঝেই এটা করেছে। অথবা এটি কোনো ষড়যন্ত্র হতে পারে।
বিসিএমসিএল সূত্রে জানা গেছে, নতুন চুক্তিতে কয়লা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩২ লাখ ৫ হাজার টন। আর্দ্রতা ঠিক না করায় এই পরিমাণ কয়লার মধ্যে শুধু অতিরিক্ত পানি থাকবে (২.৫৮ হারে) ৮৩ হাজার ৮৫০ টন।
কয়লার মূল্য প্রতি টন ১৬৯০০ টাকা হারে এই ‘পানির’ মূল্য হবে ১৪০ কোটি টাকা। অভিযোগ আছে, পেট্রোবাংলা থেকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা জ্বালানি বিভাগে গেলে সবাই প্রস্তাবের পক্ষে মত দিলেও জ্বালানি সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নেন।
প্রস্তাব ফেরত পাঠানো ফাইলে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ৭ জুলাই পর্যন্ত চীনা কোম্পানির সঙ্গে ৫.১ শতাংশ হারে পানি মেশানোর চুক্তি আছে। এ অবস্থায় নতুন করে ত্রিপক্ষীয় কমিটির মাধ্যমে কয়লার পানির ঘনত্ব নির্ণয়ের প্রয়োজনীয়তা আছে মর্মে প্রতীয়মান হয় না।
যুগান্তরের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চীনা ঠিকাদারের সঙ্গে এর আগের চুক্তিতে কয়লার সঙ্গে পানির পরিমাণ নিয়ে ভয়াবহ লুটপাট ও অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। ওই চুক্তিতে পানির পরিমাণ ৫.১ ধরা হলেও বাস্তবে তা ছিল ১০ শতাংশের বেশি।
অভিযোগ আছে, গত ১১ বছরে এ খাতে কয়লা কিনে প্রায় ৮৪৬ কোটি টাকা গচ্চা দিয়েছে খনি কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ গত জুলাই মাসে খনি থেকে ১ লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লা গায়েব হওয়ার পর পানির আর্দ্রতার বিষয়টি আলোচনায় আসে। এতে টনক নড়ে জ্বালানি বিভাগের।
আর্দ্রতার মাত্রা পুনর্নির্ধারণের জন্য পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যানকে চিঠি দেয় জ্বালানি বিভাগ। চিঠি পেয়ে এ সংক্রান্ত একটি উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করে পেট্রোবাংলা। তাদেরকে পানির আর্দ্রতা পুনর্নির্ধারণের দায়িত্ব দেয়া হয়।
বুয়েটসহ দেশের বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞ কমিটি পানির আর্দ্রতা ২.৫৮ শতাংশ নির্ধারণ করে, যা আগের আর্দ্রতার চেয়ে ২.৪৩ শতাংশ কম। চীনা ঠিকাদার এক্সএমসি-সিএমসি কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে নতুন আর্দ্রতার মাত্রা নিয়েও একাধিক বৈঠক করে বিসিএমসিএল।
দু’পক্ষের বৈঠকের পর পানির পরিমাণ ২.৫৮ শতাংশ নির্ধারণে সম্মত হয় চীনা ঠিকাদার এক্সএমসি-সিএমসি কনসোর্টিয়াম। প্রথমে চীনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আর্দ্রতা পুনর্নির্ধারণে রাজি ছিল না।
পরবর্তী সময়ে এ নিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য ফাঁস হয়ে পড়ায় চীনা ঠিকাদারও ভয় পেয়ে যান। একপর্যায়ে শর্তসাপেক্ষে রাজি হন। শর্ত হল- আগের চুক্তির ক্ষেত্রে যেন এর প্রভাব না পড়ে।
বিএসসিসিএল এতে সায় দেয়। এরপর ফাইল পাঠানো হয় জ্বালানি সচিব বরাবর। ১৮ এপ্রিল মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব স্বাক্ষরিত পত্রে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি (বিসিএমসিএল) এবং চীনা ঠিকাদার এক্সএমসি-সিএমসি কনসোর্টিয়ামের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির কপি চাওয়া হয় পেট্রোবাংলার কাছে।
৫ মে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান চুক্তির কপি পাঠান মন্ত্রণালয়ে। সঙ্গে দু’পক্ষের বৈঠকের রেজুলেশন, বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট এবং পানির আর্দ্রতা ২.৫৮ করার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট।
পেট্রোবাংলার পক্ষে জরুরি ভিত্তিতে এটা বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয় প্রস্তাবনায়। একই সঙ্গে এটি করলে সরকারের কত টাকা লাভ হবে, তা-ও জানানো হয় মন্ত্রণালয়কে। চুক্তিপত্রে বলা আছে, সরকার চাইলে যে কোনো সময় চুক্তির যে কোনো শর্ত পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও বাতিল করতে পারবে। কিন্তু এত কিছুর পর বাদসাধে জ্বালানি বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
অভিযোগ উঠেছে, কয়লায় পানির মাত্রা ২.৫৮ করার প্রস্তাবে চীনা ঠিকাদার রাজি হলেও ফাইলটি মন্ত্রণালয়ে আসার পর একটি সিন্ডিকেট সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ নিয়ে বড় ধরনের ডিলিং করেন। তাতেই সবকিছু ভণ্ডুল হয়ে যায়।
অভিযোগ আছে, এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ে তদবির করেন আবদুর রইস সিদ্দিক নামে এক ব্যক্তি। তিনি দীর্ঘদিন পেট্রোবাংলার পরিচালক হিসেবে চাকরি করে এখন অবসর জীবনযাপন করছেন।
পাশাপাশি পেট্রোবাংলার অধীন বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ড ও জিটিসিএলে (গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড) ঠিকাদারি করছেন। জানা গেছে, এই আবদুর রইস সিদ্দিক সম্পর্কে জ্বালানি সচিবের চাচা হন।
এ সুবাদে আবদুর রইসের সঙ্গে চীনা ঠিকাদারের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ হয়। জানা গেছে, আবদুর রইস সিদ্দিক পেট্রোবাংলায় আসার আগে তিতাস গ্যাস কোম্পানির প্রভাবশালী জেনারেল ম্যানেজার ছিলেন।
এক সময় তিনি পোস্টিং পান মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে। সে সময় তিনি পদাধিকার বলে বেশ কিছুদিন বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সদস্য ছিলেন।
মূলত তখন থেকেই চীনা ঠিকাদারের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। গত জুলাইয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১ লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লা চুরির বিষয়টি ধরা পড়লে এই ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়ে।
অভিযোগ আছে, দ্বিতীয় চুক্তি শেষে চীনা ঠিকাদারের জামানত ফেরত প্রদানেও রইস সিদ্দিকের বড় ভূমিকা ছিল। কারণ হিসেবে অনেকে বলেছেন, তদন্ত কমিটি চীনা ঠিকাদারের জামানতের টাকা ফেরত দেয়ার আগে একজন আইন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে বলে। কিন্তু বড়পুকুরিয়ার এমডি ফজলুর রহমান যে আইন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েছিলেন তিনিও রইস সিদ্দিকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং তারা এক সঙ্গে তিতাস গ্যাস কোম্পানিতে চাকরি করেছেন।
এ প্রসঙ্গে আবদুর রইস সিদ্দিক যুগান্তরকে বলেন, তিনি সামান্য কিছুদিন বড়পুকুরিয়ার বোর্ড মেম্বার ছিলেন। তার সঙ্গে সেখানকার কারও সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। এ নিয়ে তিনি কোনো তদবিরও করেননি সচিবের সঙ্গে। সিন্ডিকেটের প্রশ্নই আসে না। তিনি দাবি করেন, তিনি এবং তার ভাতিজা কখনোই কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি করেননি। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেননি।
অভিযোগ আছে, সচিবালয়ে জ্বালানি সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা খুবই দুঃসাধ্য। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অনেক ব্যক্তিও তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান না।
কিন্তু রহস্যজনকভাবে তার চাচা রইস সিদ্দিকের মাধ্যমে গেলে কাউকে এক মিনিটও অপেক্ষা করতে হয় না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির পানির ঘনত্ব পুনর্নির্ধারণের এ ঘটনায় আবদুর রইস সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসবে। দুদকের উচিত হবে, তাকে দ্রুত জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা।
উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১ লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লা চুরির বিষয়টি ধরা পড়ে। মূলত এই খনির কয়লা দিয়ে চলা বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে গেলে ভয়াবহ ‘চুরির’ বিষয়টি নজরে আসে।
বড়পুকুরিয়া খনি কর্তৃপক্ষের পর্ষদ সভার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৩ বছরে এই খনি থেকে তোলা ১ কোটি ১ লাখ ৬৬ হাজার টন কয়লা কিনেছে সরকার। ২০১১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি বিভাগে দেয়া একটি উপস্থাপনা পত্রে বলা হয়, বড়পুকুরিয়া খনির কয়লায় ১০ শতাংশ আর্দ্রতা রয়েছে।
কিন্তু এ সময়ে চীনা ঠিকাদার ৫.১ শতাংশ হারে কয়লা বিক্রি করেছে। কয়লার আর্দ্রতা পরিমাপের জন্য রসায়নবিদ নিয়োগের কথা থাকলেও রহস্যজনক কারণে গত ১৩ বছরে এ পদে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি।
ফলে পূর্ণ আর্দ্রতায় (১০ শতাংশ) খনির কয়লা কিনেছে সরকার। চীনা দুই প্রতিষ্ঠান সিএমসি, এক্সএমসির কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে পেট্রোবাংলার করা চুক্তির চেয়ে ৫.১ শতাংশ বেশি আর্দ্রতায় কেনার ফলে এ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ টন বেশি ওজন (পানি) কয়লার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। খোলাবাজারে প্রতি টন কয়লা ১৬ হাজার ৯২৭ টাকায় বিক্রি করে বিসিএমসিএল। এ হিসাবে ৫ লাখ টন কয়লার মূল্য ছিল ৮৪৬ কোটি টাকা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ যুগান্তরকে বলেন, জ্বালানি সচিবের পরামর্শে পেট্রোবাংলা এবং বিসিএমসিএল আর্দ্রতা পুনর্নির্ধারণ করে। সেখানে জ্বালানি বিভাগ সেটি নাকচ করে দেয়ার রহস্য কী? তার মতে, মূলত কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে দর বাড়ানোর জন্যই সিন্ডিকেট এই নাটকটি মঞ্চস্থ করেছিল। টার্গেট চূড়ান্ত হওয়ার পর তা বাতিল হয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সঙ্গে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে এবং রোববার তার কার্যালয়ে গিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
অপরদিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দেশের বাইরে অবস্থান করায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।