পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় মর্নিং সান ৫ নামের একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের দুই নিরাপত্তাকর্মীসহ ১৪ কর্মচারী অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে পড়েছে। গুরুতর অবস্থায় তাদেরকে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার শিকাররা হলেন লঞ্চের সুকানি মো. নূরু মিয়া (৪০), চালক আবুল কালাম (৪০), গ্রিজার মো. সাইদুল (৩৬), শ্রমিক মো. ইব্রাহিম (৩২), মো. ফেরদাউস লস্কর (২৫), মো. টিপু সুলতান (২৪), মো. কালু মিয়া (২৮), লঞ্চের হোটেল মালিক ইব্রাহিম (৪২), হোটেল বয় ইলিয়াস (৩৫), রাজু (২৫), পান দোকানি মো. ইলিয়াস, কেবিন বয় মো. শাকিল (২০), মো. রনি (২১) এবং নিরাপত্তাকর্মী আবদুর রহিম (২৬) ও আল আমিন (২৫)।
ভাণ্ডারিয়া-ঢাকা রুটে চলাচলকারী লঞ্চ মর্নিং সান ৫ এর মাস্টার মো. লিটন মিয়া জানান, চলমান নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে গত ২৩ আগস্ট থেকে লঞ্চটি ভাণ্ডারিয়া লঞ্চঘাটে নোঙর করা ছিল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে লঞ্চে রান্নাকরা খাবার খেয়ে ১৪ কর্মচারী অচেতন হয়ে পড়েন। সকালে কোনো কর্মচারী ঘুম থেকে না ওঠায় স্থানীয় জাফরান জমাদ্দার তাদেরকে ডাকাডাকি করেন। এতে কোনো সাড়া না পাওয়ায় তিনি স্থানীয়দের সহয়তায় অচেতন লঞ্চ কর্মচারীদের উদ্ধার করে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
উল্লেখ্য, লঞ্চের মাস্টার লিটন রাতে খাবার না খাওয়ায় তিনি ছাড়া লঞ্চের সব কর্মচারীই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা খাবারে ওষুধ মিশিয়ে তাদেরকে অচেতন করে ফেলে রেখে যায়। সবাই অচেতন থাকায় কোনো মালামাল চুরি হয়েছে কিনা- সে বিষয়ে কোনো তথ্য মেলেনি।
ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফরহাদ বিন ছিদ্দিক বলেন, “রাতের খাবারে বিষক্রিয়ার ঘটনায় লঞ্চ স্টাফরা অচেতন হয়ে পড়েছেন। তাদেরকে যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।” চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তিনি।