গভীর রাতে বিয়ের আশ্বাসে বাবার বাড়িতে ফিরে গেছেন সেই তরুণী
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরিশালের গৌরনদীতে ছেলের অভিভাবকরা সামাজিকভাবে বিয়ের আশ্বাস দিলে অনশনকারী সেই তরুণী বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে কালকিনি উপজেলায় নিজের (বাবার) বাড়িতে ফিরে গেছেন।
সঞ্জয় দত্তের স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে বুধবার বেলা ১১টা থেকে গৌরনদী পৌরসভার চরগাধাতলী এলাকার সঞ্জয় দত্তের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে ওই তরুণী অনশন শুরু করেছিলেন। স্ত্রীর মর্যাদা না পেলে আত্মহত্যার হুমকিও দিয়েছেন ওই তরুণী।
সঞ্জয় দত্ত গৌরনদী পৌরসভার চরগাধাতলী এলাকার সত্য নারায়ণ দত্তের ছেলে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গৌরনদী থানার এসআই আব্দুল হক শিকদার জানান, ছেলে ও মেয়ের অভিভাবক এবং উভয়পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাতে সঞ্জয় দত্তের বাড়িতে এক গ্রাম্যসালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় অভিযুক্ত সঞ্জয় দত্ত সালিশ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। ওই গ্রাম্যসালিশ বৈঠকে সিদ্ধান্ত যে, স্ত্রীর স্বীকৃতি দিয়ে ওই তরুণীর বাড়িতে আগামী ১০ নভেম্বর সামাজিকভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান করে সঞ্জয় দত্তের স্ত্রী হিসেবে ওই তরুণীকে শ্বশুরবাড়িতে আনা হবে।
অনুষ্ঠিত গ্রাম্যসালিশ বৈঠকে উপস্থিত গ্রাম্য মাতবররা ওই ঘটনার আপস মীমাংসার চুক্তিপত্র করেছেন। সামাজিকভাবে বিয়ের আশ্বাস পেয়ে ওই তরুণী তার স্বজনদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কালকিনি উপজেলায় নিজের (বাবার) বাড়িতে ফিরে গেছেন।
সঞ্জয় দত্তের বাবা সত্য নারায়ণ দত্ত জানান, গ্রাম্যসালিশ বৈঠকে তার ছেলের বিষয়টি আপস মীমাংসা করা হয়েছে। ছেলে সঞ্জয় দত্ত বাড়িতে ফিরে আসলে সামাজিকভাবে দিন-তারিখ দিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বউ ঘরে আনা হবে।
ওই তরুণী বলেন, ছয় মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে আমার সঙ্গে সঞ্জয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
বিভিন্ন স্থানে আমাকে ঘুরতে নিয়ে যান সঞ্জয়। সম্প্রতি কালকিনিতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যান সঞ্জয়। সেখানের একটি মন্দিরে নিয়ে আমাকে শাখা-সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করেন।
তিনি আরও বলেন, বিয়ের পর সঞ্জয় আমার সঙ্গে কয়েকবার মেলামেশা করেছেন। এরপর হঠাৎ আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সঞ্জয়। তাই স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে সঞ্জয়ের বাড়িতে অনশন শুরু করি।
তখন সঞ্জয় দত্ত টের পেয়ে বাড়ি ছেড়ে গা-ঢাকা দেয়। সঞ্জয়ের অনুপস্থিতিতে অভিভাবকরা বিয়ের আশ্বাস দিলে আমি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অনশন প্রত্যাহার করে স্বজনদের সঙ্গে বাড়ি ফিরেছি।
বরিশালের খবর, বিভাগের খবর