গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনানুষ্ঠানিকভাবে পাওয়া ২১৫টি কেন্দ্রে বিএনপির ধানের শীষের তুলনায় আওয়ামী লীগের নৌকা বেশি পেয়েছে এক লাখ তেত্রিশ হাজার ৫১৮ ভোট।
এসব কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে পড়েছে দুই লাখ ৪১ হাজার ৪৭০ ভোট। আর রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির হাসান উদ্দীন সরকার পেয়েছেন এক লাখ হাজার ৭ সাত হাজার ৯৫২ ভোট।
এই নির্বাচনে যে ৪২৫টি কেন্দ্রে ভোট হয়েছে তার মধ্যে নয়টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে জালভোট ও সিল মারার অভিযোগ পেয়ে। বাকি কেন্দ্রগুলোতে ভোট সুষ্ঠুভাবে হয়েছে বলে দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন।
শুরু থেকেই আসা ফলাফলে দেখা যাচ্ছে ধানের শীষের তুলনায় দ্বিগুণ ভোট পড়ছে নৌকায়। এখন অবধি পাওয়া প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রেই বেশি ভোট পড়েছে ক্ষমতাসীন দলে।
সনাতন পদ্ধতির মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে ভোট নেয়া কেন্দ্রগুলোর চিত্রও একই রকম। সেখানেও বিএনপির চেয়ে দ্বিগুণের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে আওয়ামী লীগ।
এই ছয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ পেয়েছে চার হাজার ৮১০ ভোট, আর বিএনপি পেয়েছে দুই হাজার ২৯৭টি।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা গাজীপুর সদরের বঙ্গতাজ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করছেন। সেখানে ফল ঘোষণায় অবশ্য কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। কারণ, কেন্দ্রে গণনা শেষে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সই করা কাগজ আসলে পরে সেখানে ঘোষণা দেয়া হচ্ছে।
কিন্তু কেন্দ্রে গণনা শেষে প্রার্থীদের এজেন্টদের কাছেও ফলাফল তুলে দিচ্ছেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা। আর এই এজেন্টরা তা জানিয়ে দিচ্ছেন প্রার্থীদের কাছে।
আর প্রার্থীরাও ফলাফল সংগ্রহ করে তা যোগ করে জানিয়ে দিচ্ছেন গণমাধ্যমকর্মীদেরকে।
তবে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলমের মিডিয়া সেল এভাবে ফলাফল সংগ্রহ করে জানালেও বিএনপির হাসান সরকারের পক্ষ থেকে এ রকম কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
শিরোনামজাতীয় খবর