এ সময় ৩টি বসতঘর ভাঙচুর করা হয়। গুরুতর আহত একজনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ও পাঁচজনকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (০২ জুন) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও পরিত্যক্ত অবস্থায় দুটি রামদা উদ্ধার করেছে।
এই ঘটনায় সংঘর্ষে আহতরা হলেন- খোর্শেদ হাওলাদার (২৫), নওশেদ হাওলাদার (১৬), হিরন শরীফ (১৬), নাঈম সরদার (১৫), অপু তালুকদার (১৬), সাব্বির তালুকদার (১৬), দেলোয়ার সরদার (৪৬), রবি তালুকদার (১৬), আহাদ সরদার (১৫), সাগর সরদার (১৫), দীন ইসলাম তালুকদার (১৬), অন্তর (১৫), মরিয়ম (২৬) ও খুশি খানমসহ উভয়পক্ষের ১৫ জন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র সাগর সরদার ও একই ক্লাসের আহাদ সরদার তাদের সিনিয়র দশম শ্রেণির ছাত্র রবি তালুকদার, দীন ইসলাম ও সাব্বির তালুকদারের সামনে সিগারেট ধরালে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনার জেরে নবম শ্রেণির ছাত্র সাগর সরদার, সহপাঠী আহাদ সরদার শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিজ এলাকায় বানিয়াশুরি গ্রামের দশম শ্রেণির ছাত্র সাব্বির তালুকদারকে মারধর করে।
কিছুক্ষণ পর রবি তালুকদার, সাব্বির, দীন ইসলামের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন সহযোগী ধারালো অস্ত্র নিয়ে নবম শ্রেণির ছাত্র সাগর সরদার, তার সহপাঠী আহাদ সরদারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাদের বসতঘর ভাঙচুর করে।
হামলায় আহাদের প্রতিবন্ধী বোন খুশি খানম আহত হয়। তাৎক্ষণিক সাগর ও আহাদের সমর্থকরা জড়ো হয়ে পাল্টা-হামলা চালালে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। এ সময় আহাদের চাচা দেলোয়ার সরদারের বসতঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাজাহারুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় দুটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
শিরোনামবরিশালের খবর
