বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাইয়ের নির্যাতনে নাজমুস সাকিব হাওলাদার (২৫) নামে এক যুবক মারা যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত সাকিব শরিকল ইউনিয়নের মহিষা গ্রামের জালাল হাওলাদারের ছেলে।
কিন্তু অভিযুক্তরা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ও সর্বহারা দলের সদস্য হওয়ায় ভয়ে নিহতের পরিবারের কেউ ভয়ে মুখ খুলছেন না বলে অভিযোগ মিলেছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, নিহত সাকিবকে মাদক সেবনের দায়ে ৯ মাস আগে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৬ মাসের কারাদন্ড হয়। দুই মাস কারা ভোগের পর জামিনে মুক্তি পান। জামিন পেয়ে সাকিব পুনরায় মাদক সেবন শুরু করেন।’
সেই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ মার্চ শরিকল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মোল্লার সৎ ভাই নাসির মোল্লা প্রকাশ্যে সাকিবকে ব্যাপক নির্যাতন করেন। গত রোববার সকালে নিজ বাড়িতে সাকিব গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওইদিন সকাল ১১টার দিকে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকে কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কিন্তু বরিশালে নিয়ে আসার আগেই পথে তার মৃত্যু হয়।
শাকিবের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা বরিশালটাইমসকে মুঠোফোনে জানান- ঘটনার দিন তিনি বাবার বাড়ি ছিলেন। তার স্বামী হাসপাতালে ভর্তির কথা শুনে ওই দিন বিকেলে তিনি ছুটে আসেন। শের-ই বাংলা মেডিকেলে নেয়ার পথে তার স্বামীর মৃত্যু হয়।
গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মাসুম বিল্লাহ বরিশালটাইমসকে বলেন- শারীরিক জখম (ফিজিক্যাল অ্যাসাল্ট) অবস্থায় গত রোববার সকাল ১১টার দিকে সাকিবকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
তার ভর্তি ফরম ও রেজিস্ট্র্রারে শারীরিক জখম লেখা রয়েছে। অবস্থার অবনতি হলে সাকিবকে ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
শরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) গাজী মো. অহিদুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে বলেন, মাদকসেবী নাজমুস সাকিবকে মাদকসহ গত বছরের ১১ জুন আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক তাকে ৬ মাসের কারাদন্ড দেন। শনিবার সাকিবের ভাই মো. সবুজ তাকে জানায় সাকিব ঘরের সবাইকে মারধর করছে। তাকে (শাকিল) আবারও গ্রেফতার করে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেন সাকিবের ভাই সবুজ।’’
তাকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু তিনি লিখিত অভিযোগ দেন নি।
সাকিবকে মারধর করে হত্যার ঘটনায় পুলিশ কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এসআই গাজী মো. অহিদুল ইসলাম।’’
শিরোনামবরিশালের খবর