প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত চারু ও কারুকলা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পাশ করানোর কথা বলে একটি বিদ্যালয়ের প্রায় তিন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে প্রায় ২৫ হাজার টাকার উপহার সামগ্রী উত্তোলন করেছেন প্রধান শিক্ষক।
বিষয়টি নিয়ে সর্বত্র তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের ২১ নম্বর কাঠালতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে- অন্যান্য বছরগুলোতে চারু ও কারুকলা বিষয়ের ওপর পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীরা মাটি দিয়ে বিভিন্ন দুর্লভ জিনিসপত্র, তালপাখা ও ঝাড়– বানিয়ে বিদ্যালয়ে আনতো।
এছাড়া স্কুলে বসেই প্রতিটি ক্লাশে আলাদাভাবে শিক্ষার্থীদের একেকটি বিষয়ের ওপর ছবি অঙ্কন প্রতিযোগিতা হতো। ওই সব মালামাল ও শিশুদের আঁকা ছবির ওপর ভিত্তি করেই চারু ও কারুকলা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের নাম্বার দেয়া হতো। কিন্তু এবার ঘটেছে ব্যতিক্রম।
কাঠালতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা বরিশালটাইমসকে জানান- এ বছর চারু ও কারুকলা বিষয়ের পরীক্ষার পূর্বে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইতি রাণী দাস পূর্বের সকল নিয়ম ভেঙে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে বক্স টিস্যু, টয়লেট টিস্যু, সাবান, শেম্পু ও ফুলের ঝাড়– আনার জন্য স্লিপ ধরিয়ে দেন।
যারা এসব মালামাল না আনবে তাদের পরীক্ষায় ফেল করানোরও হুমকি দেয়া হয়।
আরও জানা গেছে, প্রধান শিক্ষকের স্লিপ পেয়ে অভিভাবকরা বাধ্য হয়ে চাহিদা অনুযায়ী মালামাল ক্রয় করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। এতে প্রতি শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের গুনতে হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা।
স্থানীয় রাজাপুর বাজারের ব্যবসায়ী মো. হানিফ বরিশালটাইমসকে জানান, স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের দেয়া স্লিপ দেখিয়ে তার দোকান থেকে চাহিদা অনুযায়ী মালামাল নিয়ে গেছে।
অভিযোগের বিষয়ে প্রধানশিক্ষক ইতি রাণী দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
তবে স্কুলের সহকারী শিক্ষক রুবি বেগম দাম্ভিকতার সাথে সাংবাদিকদের বলেন, চারু ও কারুকলা বিষয়ের ওপর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এসব মালামাল নেয়া হয়েছে।
কিন্তু এ নিয়ে রির্পোট করার কি আছে বলে সাংবাদিকদের কাছে কৈফিয়ত চান তিনি।
তবে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন ফকির বরিশালটাইমসকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’’
বরিশালের খবর